আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বাইসাইকেল ও হ্যান্ডমাইকে প্রচারণা চালাচ্ছেন আব্দুল হাই
বাইসাইকেলে চেপে এলাকা ঘুরে ঘুরে আগামি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য হ্যান্ড মাইকে ভোট প্রার্থনা করছেন। বাই সাইকেলে রয়েছে একটি কাপড়ের ব্যাগ। এই ব্যাগের ভিতর কাপড়-চোপড়সহ প্রয়োজনীয় জিনিস। প্রচার করতে করতে যেখানে রাত হচ্ছে সেখানেই কোন বাড়িতে রাত্রি যাপন করে, পরের দিন আবার প্রচারণা চালাচ্ছেন।
বলছিলাম কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাস্টার এর কথা। নির্বাচন পাগল এই চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে ৪ বার ইউপি চেয়ারম্যান পদে, ৪ বার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে এবং ৪ বার জাতীয় সংসদের সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন। এর মধ্যে একবার তিনি বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এবং ২০০৯ সালে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এসময় স্থানীয় জনসাধারণ নগদ টাকা , বাড়ি বাড়ি চাউল ও মুড়ি তুলে তাকে সহায়তা করেছিলেন। নির্বাচিত হবার পর বেশিরভাগ সময় তিনি ড্রেন পরিস্কার ও রাস্তা-ঘাট ঝাড়– দেবার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ড্রেনের ভিতরে নেমে ময়লা পরিস্কার করার খবর পেয়ে দেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি টিম হাজির হয় ভূরুঙ্গামারীতে। তখন তাঁকে নিয়ে একটি প্রামান্যচিত্র প্রচারিত হয় ইত্যাদির অনুষ্ঠানে।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাস্টার মূলতঃ একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। গত বছরের অক্টোবর মাসে তিনি চর-ভূরুঙ্গামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হিসাবে অবসরে যান।
উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রচারনার সময় কথা হয় এই প্রতিবেদকের সাথে। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সর্বশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাকের পার্টির প্রার্থী হিসাবে ২৫ কুড়িগ্রাম-১ আসনে (নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলা) প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এবারও জাকের পার্টির প্রার্থী হিসাবে তিনি প্রচরণা চালাচ্ছেন। জাকের পার্টির মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন। তিনি বলেন, ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে সাধ্যমত মানুষের উপকার করার চেষ্টা করেছি কিন্তু এ পদে ক্ষমতা সীমিত। তাই জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই। নির্বাচিত হলে তিনি নদী ভাঙ্গন রোধ, বেকার সমস্যা ও বেসরকারী শিক্ষকরা যাতে সহজে পেনসনের টাকা উত্তোলন করতে পারে সে ব্যাপারে অগ্রাধিকার দিবেন।
তিনি ১৮ জানুয়ারী থেকে প্রচারণার কাজ শুরু করেছেন এবং প্রতিটি এলাকায় জনগণের বিপুল সারা পাচ্ছেন বলে জানান। তিনি বলেন, আমি লক্ষণ পেয়েছি আল্লাহ এবার আমাকে এমপি বানাবে। প্রচারণা শুনতে আসা সাইফুর রহমান, বিপ্লব, শহিদুল ও রাসেল জানান, তিনি অত্যন্ত সহজ সরল ভালো মানুষ। আমাদের এলাকার লোক হিসাবে আমরা তাকে ভোট দিব।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন