কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সাংবাদিক পরিচয়ে ভয়ভীতি, অবৈধ সুবিধা আদায় ও প্রতারণা করায় এক কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
গত ৩০ আগস্ট (মঙ্গলবার) দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের নিকট এই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভূরুঙ্গামারী সার্কেল এএসপিকে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। অভিযুক্ত কথিত সাংবাদিকের নাম আনোয়ার হোসেন আরিফ। সে উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের হুচরবালা গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র।
জানাযায়, গত বুধবার (২৪ শে আগষ্ট) দুপুরে আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের খামার আন্ধারীঝাড়ের নুরুর দিঘী সংলগ্ন ফুলকুমার নদ হতে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে কথিত সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আরিফ আরো কয়েকজনকে নিয়ে আন্ধারীঝাড় ইউপি চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডলের অফিস গিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে সংবাদ প্রকাশ করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এতে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এঘটনায় চেয়ারম্যান জাবেদ আলীকে হেনস্তা করতে আনোয়ার নিজেকে দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি দাবী করে ভূরুঙ্গামারী থানাসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।
জনকন্ঠের সাংবাদিক দাবী করে অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজের নজরে এলে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন।
কথিত ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাকুরী দেবার প্রলোভন দেখিয়ে গনাইরকুটি গ্রামের জনৈক সুলতান মাহমুদের (৩৫) নিকট থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কুড়িগ্রাম সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে ৪৫/২২ (ভূরুঙ্গা) একটি মামলা হয়েছে। যা তদন্তের জন্য ওসি ভূরুঙ্গামারীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও ভূরুঙ্গামারীর এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা ও বনোয়াট কাহিনী প্রচার করায় কথিত ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা হয়েছে। যা রংপুর আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডল বলেন, সংবাদ প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে আনোয়ার ও তার বাহিনী মোটা অংকের টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এব্যাপারে জনকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ জানান, সাংবাদিক পরিচয়ে কেউ অপসাংবাদিকতা করে প্রকৃত সাংবাদিকদের সম্মান ক্ষুন্ন করবে সেটা মেনে নেয়া যায়না। তিনি আনোয়ার হোসেন সহ কুড়িগ্রাম জেলার সকল ধান্দাবাজ অপসাংবাদিকদের বিচার দাবী করেন।
ভূরুঙ্গামারী-কচাকাটা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোরশেদুল হাসান বলেন, আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন