কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডায় বেকায়দায় পড়েছে হতদরিদ্র মানুষজন
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2022/12/Kurigram-Winter-New-Photo-29.12.2022-900x450.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
ঘন-কুয়াশা সাথে কনকনে ঠান্ডায় অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জন-জীবন। ৩দিন ধরে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা উঠানামা করছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। সুর্যের দেখা না মেলায় উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠান্ডার প্রকোপ। কুয়াশার চাদরে পথ-ঘাট ও প্রকৃতি ঢেকে থাকায় দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যান-বাহন। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমুল ও হতদরিদ্র মানুষজন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ অবস্থায় শীত ও কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ।
এখন পর্যন্ত সরকারী কিংবা বেসরকারীভাবে সেভাবে শীতবস্ত্র কিংবা কম্বল বিতরণ শুরু হয়নি। এতে করে ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা।
বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম রাজারহাট স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে আগামী ২ একদিনের মধ্যে আরও তাপমাত্রা কমে ১০ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভবনা রয়েছে।
কনকনে শীতে ও ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষি শ্রমিকরা। এ অবস্থায় ঠান্ডায় শ্রমিকরা ঠিকমত মাঠে কাজ করতে পারছেন না। এতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কাজ।অন্যদিকে বীজতলার চারাগাছ হলুদ বর্ণের রুপ ধারণ করেছে।
সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের বলতি পাড়া গ্রামের কৃষি শ্রমিক আজহার আলী বলেন, এতো ঠান্ডায় মানুষ তো বিছানা থেকে উঠে নাই, আর আমরা কাজের জন্য মাঠে যাচ্ছি। এই ঠান্ডায় কাজ করতে একদমে মন চায় না। ওই এলাকার মিনা বলেন, গতকাল থেকে খুবই ঠান্ডা পরছে। ঠান্ডায় বাহির হওয়া যাচ্ছে না। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছি।
পাঁচগাছী ইউনিয়নের মকবুল জানান,কুয়াশা চারার গোড়ায় পানি জমে চারা মরে যাচ্ছে। ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড শীতের কারণে মাঠে কৃষি কাজ করতে যেতে পারছেন না তিনি। এ অবস্থায় চাষের জমি পড়ে আছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন,আজ কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমে ১০ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল গফুর বলেন, আমার ইউনিয়নটি নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল। শীতে এখানকার মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে। এখানে কম করে হলেও ৫-৬ হাজার দুঃস্থ ও অসহায় মানুষ আছে। এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে ৭শ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে জেলার ৪ শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের ২ লক্ষাধিক হতদরিদ্র মানুষ শীত নিবারণের জন্য তাকিয়ে আছে সরকারী ও বেসরকারী সহায়তার দিকে।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন