কুয়েতে শ্রমিক রফতানি বন্ধ ঘোষণা করলো ফিলিপাইন
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রমিক রফতানি বন্ধ ঘোষণা করেছে ফিলিপাইন। সোমবার ফিলিপাইন সরকার আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের এ দেশটিতে শ্রমিক রফতানি পুরোপুরি বন্ধের ঘোষণা দিয়ে এক আদেশ জারি করেছে। কুয়েতে দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক নিহত ও আহত হওয়ার জেরে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিপাইন।
সোমবার ফিলিপাইনের শ্রম ও কর্মসংস্থান বিভাগের প্রধান সচিব তৃতীয় সিলভেস্ত্রে বেল্লো তাৎক্ষণিকভাবে কুয়েতে ফিলিপিনো শ্রমিক রফতানি ‘পুরোপুরি বন্ধ’ করে একটি আদেশ জারি করেন।
সম্প্রতি কুয়েতের পরিত্যক্ত একটি ভবনের ফ্রিজের ভেতর থেকে এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই গৃহকর্মী ফিলিপাইনের নাগরিক বলে ধারণা স্থানীয় প্রশাসনের।
কুয়েতে বর্তমানে ফিলিপাইনের প্রায় আড়াই লাখ প্রবাসী রয়েছে। উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদভূক্ত (জিসিসি) দেশগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবে ফিলিপাইনের সবচেয়ে বেশি প্রবাসী রয়েছে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ফিলিপিনো শ্রমিক রয়েছে কুয়েতে।
ফিলিপাইনের শ্রম ও কর্মসংস্থান বিভাগ বলছে, ‘কুয়েতে ফিলিপিনো প্রবাসী শ্রমিকদের প্রাণহানি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাবাহিক ঘটনার জেরে জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করে দেশটিতে শ্রমিক পাঠানো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিগগিরই এ আদেশ কার্যকর হবে।’
তবে কুয়েতে বর্তমানে যে ফিলিপিনো প্রবাসীরা কর্মরত আছেন; এই সিদ্ধান্তের কারণে তাদের কুয়েত ছাড়তে হবে না। এর আগে ফিলিপিনো প্রবাসীদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগ এনে দেশটির নাগরিকদের কুয়েত ছেড়ে দেশে ফেরার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে।
গত মাসে ফিলিপাইনের এ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি দুঃখিত। সেখানে (কুয়েতে) যে ফিলিপিনো নাগরিকরা আছেন, আপনারা সকলেই দেশে ফিরতে পারেন। আপনারা যদি ফিরে আসেন; তাহলে তারা (কুয়েতি নাগরিকরা) নরকে বসবাসের অভিজ্ঞতা পাবে।’
‘সেখানে আরো এক নারী দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন; ফিলিপিনো ওই নারী ধর্ষিত হয়েছেন। আমি এটা বন্ধ করতে যাচ্ছি। আমি নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছি।’
সূত্র : গালফ নিউজ, খালিজ টাইমস
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন