‘কোন অপশক্তি বাঙালির চেতনাকে মুছে দিতে পারবে না’

বাঙালির মানসপটে স্বাধীনতার উজ্জ্বল অবয়ব হয়ে আছে যে সৌধ, তার সোপানে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনে সাভারে সাধারণ মানুষের ঢল নামে ভোর থেকেই। উত্তর প্রজন্মকে বিজয়ের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে অনেকেই এসেছেন সন্তানদের হাত ধরে। ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষই বললেন, কোন অপশক্তিই অসাম্প্রদায়িক বাঙালির চেতনাকে মুছে দিতে পারবে না।

কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারপাশ। শীতের মোহময় সকালে হাজারো মানুষের অপেক্ষা। বিজয়ের স্মারক হয়ে দাঁড়িয়ে যে মিনার সেখানেই অর্পণ করতে হবে শ্রদ্ধার্ঘ।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাতটায় সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় স্মৃতিসৌধ। এরপর কেবল উচ্ছ্বাস আর উদ্দীপনায় মুখর ছিলো পুরো অঙ্গণ।

দেশ ও মাটির প্রতি গভীর ভালোবাসা বুকে নিয়ে এসেছেন ফুল হাতে, মুক্তির সোপানে শ্রদ্ধা নিবেদনে বিজয় দিবস এখন বড় এক উপলক্ষ।

ফুল দিতে আসা একজন প্রবাসী জানান, আমি দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে এসেছি। আজ ফুল দিতে এখানে এসেছি। বিদেশে থাকলে বোঝা যায় দেশের প্রতি কত মায়া?

যে শিশু এসেছে বাবা-মায়ের হাত ধরে, সেই তো বাঙালি জাতির উত্তরাধিকার। তাকেও জানাতে হয় বিজয়ের সৌরভ কিনতে হয়ে চড়া দামে।

শিশুদের অভিভাবকরা জানান, আমাদের শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর জন্য এখানে নিয়ে এসেছি।

সোনার বাংলা কি এখনও স্বপ্ন? বিজয়ের ৫০তম বর্ষে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরছেন হাজারো মানুষ।

ষাটোর্ধ্ব একজন জানান, একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। বাঙালি তার অধিকার ফিরে পেয়েছে। এছাড়াও নাগরিকের যে মৌলিক অধিকার সেটার জন্য এখনও আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে।