কোরবানিসহ বেসরকারিভাবে হজে খরচ ৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা
কোরবানির খরচসহ বেসরকারিভাবে হজে খরচ প্রায় ৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
কোরবানির খরচ বাদে এ বছর বেসরকারি এজেন্সিগুলোর ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে মাথাপিছু সর্বনিম্ন খরচ হবে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।
হাব সভাপতি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য ‘সাধারণ প্যাকেজ’ নামে একটি প্যাকেজ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক এজেন্সি নিজ নিজ স্পেশাল প্যাকেজ করতে পারবেন। তবে কোনো প্যাকেজই হাব ঘোষিত সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্যের চেয়ে কম হবে না।
তিনি বলেন, সাধারণ প্যাকেজের হজযাত্রীদের পবিত্র হারাম শরীফের বাইরের চত্বরের সীমানার এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ মিটার দূরত্বে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
প্যাকেজ ঘোষণার পর সৌদি সরকার অতিরিক্ত কোনো ফি আরোপ করলে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং তা হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে।
শাহাদাত হোসাইন আরও বলেন, কোরবানির খরচ বাবদ প্রত্যেক হজযাত্রীকে ৪১০ সৌদি রিয়াল সমান পরিমাণ ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা আলাদাভাবে নিজ দায়িত্বে সঙ্গে নিতে হবে।
এর আগে বুধবার (১১ মে) সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সরকারিভাবে দুটি ও বেসরকারিভাবে হজ পালনের ক্ষেত্রে একটি প্যাকেজ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে ব্রিফ করেন।
সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩০ টাকা।
এ বছর প্যাকেজ-১ এর ক্ষেত্রে এক লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এর ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে ১ লাখ ২ লাখ ১৫০ টাকা।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি সরকারের বিধিনিষেধের মুখে গত দুই বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীরা হজ পালন করতে পারেননি।
সবশেষ ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন হজযাত্রীরা। ২০২০ সালে প্যাকেজ ঘোষণা হলেও বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি। তখন হজ পালনে প্যাকেজ-১-এ ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, প্যাকেজ-২-এ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-৩-এ খরচ ধরা হয়েছিলো ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তখন হজ প্যাকেজগুলো বেসরকারি হজযাত্রীদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন