ক্যাপ্টেন নওশাদ : এক দুঃসাহসী অভিযাত্রীর চিরবিদায়
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট মধ্য আকাশে থাকার সময় হার্ট অ্যাটাক করা পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম মারা গেছেন (ইন্না নিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। অসুস্থ হওয়ার ৩ দিন পর ভারতের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
সোমবার দুপুরে এ তথ্য জানান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপটেন মাহবুবুর রহমান। গতকাল তিনি জানিয়েছিলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’। পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর ক্যাপটেন নওশাদ কাইয়ুমের ভেন্টিলেশন সাপোর্ট খুলে নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে মেডিকেল টিম সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে গত শনিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকার বলেছিলেন, আকাশে বসে অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গেই পাইলট কাইউম কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময়ে তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে তার নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির ১২৪ জন যাত্রীর প্রত্যেকেই নিরাপদে ছিলেন।
জরুরি অবতরণের পর পাইলট নওশাদকে নাগপুরের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার এনজিওগ্রাম করা হয় বলেও জানান তাহেরা খন্দকার।
বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, নওশাদ আতাউল কাইউম একজন দক্ষ পাইলট। কার্ডিয়াক এরেস্ট হওয়া সত্ত্বে তিনি দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। তার প্রেসার হাই হয়ে যাওয়ায় মাথায় রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিমানের বিজি-২২ ফ্লাইটটি ওমান যায়। সেখান থেকে স্থানীয় সময় রাত ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসার কথা থাকলেও ফ্লাইটটি ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। তবে পাইলটের অসুস্থতাজনিত কারণে ঢাকার দিকে না এসে ভারতের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ফ্লাইটটি নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন