ক্ষমতা নিয়েই সৌদি-আমিরাতে অস্ত্র বিক্রি স্থগিত করলেন বাইডেন

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদিত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রি পুনর্বিবিচেনা করবে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন প্রশাসনের জন্য এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন।

বৃহস্পতিবার নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই পুনর্বিবেচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে আমাদের কৌশলগত উদ্দেশ্যাবলী ও পররাষ্ট্র নীতিকে এগিয়ে নেওয়া যাবে কিনা; তা ভেবে দেখা। আমরা এখন সেটিই করছি।

বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের ওই দুই দেশে কোটি কোটি ডলারের অর্থ বিক্রি সাময়িক স্থগিত করে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন, যার মধ্যে সৌদির কাছে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অস্ত্র প্রিসিজন-গাইডেড মিউনিশন ও আমিরাতের কাছে এফ-৩৫ বিমান বিক্রিও রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের শপথ নেয়ার এক সপ্তাহ পরে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে। নির্বাচনী প্রচারে সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক পুর্নমূল্যায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।

দায়িত্ব নেয়ার পর ট্রাম্পের নেওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি উল্টে দিতে এক গাদা নির্বাহী আদেশে সই করেছেন সাবেক এই ভাইস-প্রেসিডেন্ট।

সৌদি আরব ও আমিরাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে দেখা গেছে তার পূর্বসূরি ট্রাম্পকে।

পাশাপাশি অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে কট্টর সমর্থন করে গেছেন তিনি। আর ইরানের প্রতি সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করতে নির্বিচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

২০১৯ সালের মে মাসে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনাকে ঘিরে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মূলত বন্ধুরাষ্ট্র জর্ডান, সৌদি ও আমিরাতের কাছে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রিতে কংগ্রেসের আপত্তি এড়িয়ে যেতে তিনি এমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

আর গেল বছর রিয়াদের কাছে ২৯ কোটি ডলারের ছোট গোলা বিক্রিতে সায় দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলারের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, সশস্ত্র ড্রোনসহ উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থা বিক্রিতে অনুমোদন দেয়ার কথা গত নভেম্বরে কংগ্রেসকে জানিয়েছে তার প্রশাসন।

এর আগে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকরণের সম্মতির কথা জানিয়েছিল আরব আমিরাত।