খাগড়াছড়িতে আনন্দে মুখর ছিল পাহাড়ের জনপদ

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার আনন্দে মুখর ছিল পাহাড়ের জনপদে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। সারাদেশের মতো জেলার ৯টি উপজেলাতেও পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে ধর্মীয় মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে।

শনিবার(৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সালাউদ্দিন আল কাদেরী।

নামাজে অংশ নেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া, সাধারন সম্পাদক এমএন আবসার উদ্দিনসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শত শত মুসল্লির উপস্থিতিতে ঈদগাহ মাঠ হয়ে ওঠে এক পবিত্র মিলন মেলায়।

নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। পরে মুসল্লিরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে যার যার বাড়িতে ফিরে পশু কোরবানিতে অংশ নেন।

পাহাড়ি জনপদের আকাশজুড়ে ছিল তাকবিরের ধ্বনি, আর মানুষের মুখে ছিল ঈদের আনন্দের উচ্ছ¡াস। এই দিনে সাম্যের চেতনায় ধনী-গরিব, সকল শ্রেণির মানুষ এক কাতারে শামিল হয়ে আল­াহর দরবারে মাথা নত করেন।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, ঈদগাহ ও প্রধান সড়ক গুলোতে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়াও পশু কোরবানির পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে পৌর কর্তৃপক্ষ ছিল সক্রিয় ভূমিকায়।

এদিকে খাগড়াছড়ি জেলার ল²ীছড়ি উপজেলায় এবার প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হয়েছে উপজেলা সদরের সকল মসজিদের মুসল্লিদের সম্মিলিতভাবে ঈদের নামাজ আদায়। আবহাওয়া ঠিক থাকলে গত শনিবার(৭ই জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ-উল-আযহার ঈদের নামাজের প্রথম জামাত অনৃুষ্ঠিত হয়। লক্ষ্যাছড়ি থানা মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো: আনোয়ার উল্লাহ প্রথম জামাতের নামাজের ঈমামতি করেন।

জানা যায়, লক্ষ্যাছড়ি উপজেলা সদর মসজিদ, থানা মসজিদ ও বাজার মসজিদ ও পাশ^বর্তি এলাকার সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এই ঈদের নামাজে অংশ গ্রহণ করেন। থানা মসজিদ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে মাঠ সজ্জাসহ যাবতীয় কাাজ ইতি মধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুতিতে লক্ষ্যাছড়ি উপজেলা প্রশাসন আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

মাওলানা মো: আনোয়ার উল্লাহ বলেন, দীর্ঘ দিন পরে হলেও আমরা সদরে বসবাসরত সকল মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করে ইনশাল্লাহ। ঈদগাহ মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেটু কুমার বড়ুয়াকে এলাকাবাসীর পক্ষ হতে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের একত্রে ঈদের নামাজ আদায় করায় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।