খাগড়াছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বুদ্ধ পূর্ণিমা(বৈশাখী পূর্ণিমা) উদযাপিত
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বুদ্ধ পূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা) উদযাপিত হয়েছে।
শতবর্ষে ঐতিহ্যে য়ংড বৌদ্ধ বিহারের সকালে সার্বজনীনভাবে ৯টি উপজেলা প্রতিনিধিদের ধর্মীয় ভাবগাম্ভীযের মধ্য দিয়ে বোধিবৃক্ষে পানি উৎসগের মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব(বৈশাখী পূর্ণিমা) শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা।
এ উপলক্ষে বুধবার(৩রা মে) বিকেল ২টার দিকে মং সার্কেল চীপ রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী নেতৃত্বে সদ্ধর্ম দায়ক-দায়িকাদের অংশগ্রহণে ধর্মীয় বিশাল মংগল শোভাযাত্রা বের করা হয়। র্যালী শোভাযাত্রাটি য়ংড বৌদ্ধ বিহারের প্রাংগন থেকে বের হয়ে শাপলা চত্বর-চেংগী স্কোয়ার ঘুরে আবার মন্দিরের এসে শেষ হয়। জেলা পুলিশে নিরাপত্তা বেষ্টনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগীতায় শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে য়ংড বৌদ্ধ বিহারের বোধিবৃক্ষতলে এসে সমবেত হয়।
এসময় বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের ধর্মীয় পতাকাবাহি নর-নারী, দায়ক-দায়িকা, উপ-উপাসীকাবৃন্দ চন্দনের পানি ও ফুল নিয়ে স্বত্ব:ষ্পুর্ত অংশগ্রহণ করেন। সেখানে প্রার্থনা ও পঞ্চমশীল গ্রহণের পর চন্দনের জল ও ফুল নিয়ে বোধি বৃক্ষমূলের পূজাঁ করেন।
এ সময় সকলের উদ্দেশ্যে ধর্ম দেশনা দেন য়ংড বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ক্ষেমাসারা মহাথের। ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা ভগবানে নিকট ইহকাল ও পরকালের শান্তির পাশাপাশি দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে মঙ্গল কামনায় বিশেষ সমবেত প্রার্থনা করেন।
সন্ধ্যায় উপগুপ্ত পূজার উদ্দেশ্যে ফানুস বাতি উত্তোলন ও হাজার বাতি প্রজ্বলন করা হয়।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ধমের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ এই ত্রি-স্মৃতি বিজরিত বুদ্ধ পূর্ণিমা(বৈশাখী পূর্ণিমা)। তাই বৌদ্ধদের জন্য দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন ও তাৎপর্যময়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন