খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় যুবক হত্যার ঘটনায় মামলা, ৩জন সন্দেহভাজন আটক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা দীঘিনালা উপজেলায় যুবক হত্যার ঘটনার মামলায় সন্দেহভাজন ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। দীঘিনালায় রাহুল কর্মকার নিহত হওয়ার ঘটনায় নিহতদের মা বিভা রানী কর্মকার বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার(৪ঠা মে) দুপুরে দীঘিনালা থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় তিন সন্দেহভাজন আসামিকে আটক করেছে দীঘিনালা থানার পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন-উপজেলার বেতছড়ি গ্রামের শাহিন আলম(২২), সুধীর মেম্বারপাড়া গ্রামের রাজেস বড়ুয়া(২৬) এবং জনি শীল(৩৪)। আটককৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাবাদ চলছে।
গত বুধবার(৩রা মে) সকাল নয়টায় পুলিশ জামতলী সড়কের পাশ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। উপজেলার ২নং বোয়ালখালী ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের সুধীর মেম্বার পাড়া এলাকায় সড়কের পাশ থেকে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে দীঘিনালা থানা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের ধারণা গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে একজনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নিহতের মাথায় পিঠে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত রাহুল কর্মকার বোয়ালখালী ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের সুধীর মেম্বার পাড়া এলাকার মৃত তপন কর্মকারের ছেলে।
এ সময় পাশ্ববর্তী দোকানদার মাইকেল দাশ জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত নয়টায় আমার দোকান থেকে এক খিলি পান কেনেন রাহুল কর্মকার। আমার সামনেই রাহুলের স্ত্রী বাড়ী যাওয়ার জন্য ফোন করেছিল। সে বাড়ী যাচ্ছে বলে দোকান থেকে চলে যায়।
এ ব্যাপার নিহতের স্ত্রী রুপা কর্মকার জানান, গতকাল রাত নটায় ফোনে কথা হয়েছিলো, সে বলেছে বাড়ী আসবে। পরে রাত বারোটা থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ ছিলো।
নিহতের ছোট ভাই জীবন কর্মকার জানান, রাত বারোটায় বাড়ী না আসায় খোজ নিতে থাকি। সকালে একজন রাস্তার পাশে লাশ পড়ে আছে খবর পেয়ে শনাক্ত করি। তিনি আরও জানান, আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দীঘিনালা থানার এসআই এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান খান জানান, নিহত রাহুল কর্মকারের মা বিভা রানী কর্মকার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দায়ের করেছেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তিন সন্দেহভাজন আসামিকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মুহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের পর থেকেই প্রাথমিক তদন্ত চলছে। ঘটনায় জড়িত ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িত আসল ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সঠিক তদন্তপুর্বক বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে রাহুল কর্মকারের(৩৩) লাশ উদ্ধার করে দীঘিনালা থানার পুলিশ। সে উপজেলার সুধীর মেম্বারপাড়া গ্রামের মৃত তপন কর্মকারের ছেলে। এসময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। রাস্তার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারে আত্মীয় স্বজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা অভিযোগ করা হয়েছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন