খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ৩২বছরের শিক্ষকতা শেষে অবসরে গেলেন অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমা
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলায় ৩২বছরের শিক্ষকতা শেষে অবসরে গেলেন পানছড়ি সরকারি কলেজে’র অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমা।
বুধবার(৫ই জুলাই) ছিল অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমার শেষ কর্মদিবস। পানছড়ি, মাটিরাঙাসহ বিভিন্ন উপজেলার সকল স¤প্রদায়ের গরিব ও অসহায় পরিবারগুলোর ছিলেন তিনি পরম বন্ধু। প্রিয় স্যার অবসরে যাওয়ায় তাঁকে মিস করবে বলে জানালেন গরিব ও অসহায় পরিবারের কয়েক শিক্ষার্থী। ১৯৯২সালে সমীর দত্ত চাকমার হাত ধরেই এই প্রতিষ্ঠানটি জন্ম নিয়েছিল।
পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের পাশেই সুন্দর এক নিরিবিলি পরিবেশে এই কলেজটির অবস্থান। মুষ্ঠির চাউলের মাধ্যমে হাঁটি হাঁটি পা পা করে সমীর দত্তের হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠানটি আজ জেলার স্বনামধন্য একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি জায়গায় রয়েছে তাঁর শ্রম আর মেধা। তিনি শুধু পানছড়ি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেননি। তাঁর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পানছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পানছড়ি মহিলা কলেজ, ভাইবোনছড়া কলেজের মতো নামকরা প্রতিষ্ঠান।
বুধবার(৫ই জুলাই) সকাল ১১টায় এ উপলক্ষে কলেজ মিলনায়তনে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করে পানছড়ি সরকারি কলেজ।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অ লের পরিচালক ড. গাজী গোলাম মাওলা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অ লের সহকারী পরিচালক মো: মোশারফ হোসেন, চট্টগ্রাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক প্রশিক্ষক ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দিন শিশির, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নীলোৎপল খীসা, উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১৯৯০সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করা সমীর দত্ত চাকমা ইচ্ছে করলে অনেক উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারতেন। কিন্তু তিনি নিজ এলাকায় কলেজ প্রতিষ্ঠা করে সেই আমলে বিরাজমান পরিস্থিতিতেও সেটা ধরে রেখেছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সমীর দত্তের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান আজ শুধু দেশে নয়, পৌঁছে গেছে সারা পৃথিবীর কাছে। কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শান্তিময় চাকমার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দীর্ঘ ৩২বছরের শিক্ষকতা জীবনের ইতি টানেন সমীর দত্ত চাকমা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন