খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি হাসপাতালের চিকিৎসক ও জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় মানিকছড়ি উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা চিকিৎসক ও জনবল সংকটে চরম ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় জনবল সংকটে জেলার মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে মানিকছড়ি উপজেলার প্রায় ৭৭হাজার বাসিন্দার পাশাপাশি আশপাশের লক্ষ্মীছড়ি, গুইমারা ও রামগড় উপজেলার বহু মানুষ চিকিৎসাসেবায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
মানিকছড়ি হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০২১সালের ৮ই মে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১শয্যা থেকে ৫০শয্যায় উন্নীত করা হলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ হয়নি। বর্তমানে ৫০শয্যার জন্য ১২৩জন জনবল থাকার কথা থাকলেও কাজ করছেন মাত্র ৪৪জন। চিকিৎসক ও নার্স সংকটও চরম। যেখানে ১৩জন চিকিৎসক থাকার কথা, সেখানে মাত্র চারজন চিকিৎসক রয়েছেন। এর মধ্যে একজন গাইনী, একজন ডেন্টাল চিকিৎসক এবং একজন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশাসনিক কাজের দায়িত্বে। এছাড়া একজন চিকিৎসক দীর্ঘদিন অনুপস্থিত। নার্স, আয়া, ওয়ার্ড বয়, ফার্মাসিস্ট ও স্বাস্থ্য সহকারীর পদেও রয়েছে ব্যাপক ঘাটতি।
বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরো হাসপাতালে মাত্র একজন চিকিৎসক সেবা দিচ্ছেন। তিনি একাই বহির্বিভাগ, ভর্তি, ওয়াডের রোগী দেখা এবং অন্যান্য কাজ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
গত চার দিন ধরে ওয়ার্ডে কোনো চিকিৎসক না আসায় রোগীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ নিয়ে সকালে হাসপাতালে হট্টগোল শুরু হয়।
রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়া, ডাক্তার না আসা, ওষুধ সংকট, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিম্নমানের খাবার এবং নার্সদের দুর্ব্যবহারে তারা অতিষ্ঠ। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. এস এম রেজাউল করিম একবারও ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের দেখেননি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে ছুটে যান মানিকছড়ি সদর ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ তৌহিদুল আলম।
মানিকছড়ি হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল আলম জানান, জনবল সংকটের কারণে সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে এটা সত্য। ৫০শয্যার অনুমোদন মিললেও চার বছরে কোনো নতুন জনবল দেওয়া হয়নি।
দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
থেকে

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন