খাগড়াছড়ি তীব্র দাবদাহে পুড়ছে, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সারাদেশ তথা বিশ্ব। বাদ যাচ্ছেনা পাহাড় বেষ্টিত পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িও। যার ফলে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন অকাল হয়ে পড়েছে।

অসহনীয় গরমে মানুষের হাসফাঁস অবস্থা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। চৈত্রের শেষে আর বৈশাখ শুরুর খরতাপে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। নাভিশ্বাস উঠেছে রোজাদার ও শ্রমজীবী মানুষের। এর সঙ্গে আবার মরার ওপর খাড়ার ঘা হিসেবে যোগ হয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং।

যেন গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। খাগড়াছড়ি জেলা শহর ও উপজেলায় লোডশেডিংয়ের কোনো হিসাব নেই। দিনে প্রায় ১০-১২ঘন্টা লোডশেডিং চলে। কখন বিদ্যুৎ আসে, কখন যায়, তার কোনো হিসাব নেই। সকাল-সন্ধ্যা এমনকি গভীর রাতে ঘুমানোর সময়ও বিদ্যুৎ থাকেনা। এদিকে প্রচন্ড গরমের সাথে ঘন ঘন লোডশেডিং নাগরিকদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কয়েক গুণ।

খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়িতে ৩২মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ রয়েছে মাত্র ১৪মেগাওয়াট। বর্তমানে ১৮মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। তাই লোডশেডিং হচ্ছে।
এদিকে প্রচন্ড গরমে কিছুটা স্বস্তি পেতে কোন ধরনের বাছ-বিচার ছাড়াই নানান পানীয় খাচ্ছেন নাগরিকরা। স্বাস্থ্যকর কী অস্বাস্থ্যকর , তা বাছ-বিচার করারও যেন ফুসরত নেই। ফলে ডায়রিয়া, সর্দিকাশি, জ্বর, পানিশূন্যতাসহ নানা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।

হাসপাতালগুলোতে গরমে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা বিভিন্ন রোগবালাইতে আক্রান্ত হচ্ছে। গরম থেকে বাঁচার জন্য বেশি করে বিশুদ্ধ পানি, লেবুর শরবত, স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ এবং রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকার জানান, ‘রমজানের শুরুতে এতো তাপমাত্রা ছিলনা। তখন চাহিদা ঠিক থাকায় কোন লোডশেডিং হয়নি। বর্তমানে প্রায় ৪১ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছে। এতে চাহিদাও বেড়ে গেছে। তাপদাহের করণে বিদ্যুতের চাহিদা ও প্রাপ্যতার মধ্যে সমন্বয় করতে বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং হচ্ছে। খুব শীঘ্রই লোডশেডিং কমে যাবে বলে আশা করছি।