খাবারের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ

খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে রাজধানীর বাড্ডায় তিন বছরের শিশু তানহাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে গ্রেপ্তারকৃত শিপন। এরপর তিনি লাশটি তানহাদের ভাড়া বাড়ির শৌচাগারে ফেলে যান।

সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন এসব তথ্য জানান।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে, শিশুটির বাবা-মা আদর্শনগরে টিনশেড বাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন। বাড়িটির অনেকগুলো ঘরের প্রায় প্রতিটিতেই একটি করে পরিবার থাকে। সবার ব্যবহারের জন্য বাথরুম একটি।

দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে আবদুল বাতেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিপন তানহাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তানহাদের পাশের আরেকটি বাড়ির এক কক্ষে ভাড়া থাকত শিপন ও তাঁর স্ত্রী। দিনমজুরের কথা বলে ওই বাসায় থাকলেও চকবাজার থানার একটি ডাকাতির মামলায় পাঁচ বছর কারাগারে ছিল শিপন। গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে শিপনের কক্ষের সামনে দিয়ে নিজেদের ঘরে ফিরছিল তানহা। এ সময় খাবারের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে টান দিয়ে নিজের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন শিপন। তানহা চিৎকার করলে সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এরপর বাসার শৌচাগারের কমোডে শিশুটির লাশ ফেলে যায় শিপন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সেখান থেকে তানহার লাশ উদ্ধার করা হয়।

শিপন হত্যার আলামত নষ্টের চেষ্টা করে জানিয়ে আবদুল বাতেন বলেন, হত্যার পর ঘরের বিছানার রক্তাক্ত চাদর, নিজের পরনের গেঞ্জি ও লুঙ্গি বালতিতে ভিজিয়ে রাখে শিপন।

গতকাল রাত ১২টার দিকে বাড্ডার আদর্শনগর এলাকায় থেকে শিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।