খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (১১ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে এ আবেদন করেন মামলার বাদি এ বি সিদ্দিকী। তাকে আইনগত সহযোগিতা করেন আইনজীবী রওশন আরা সিকদার ডেইজি। আদালত এ বিষয় আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
গত ১ জুলাই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে খালেদা ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানারর উপ-পরিদর্শক জাফর আলী।
মামলা সূত্র জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লাখ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হত না।’
অন্যদিকে মামলার অপর আসামি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছেন। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন? আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের কবরে ফুল দিই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজের ঘরে থাকলেন কীভাবে?’
এসব বক্তব্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর ১শ’ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন