‘গরু খাওয়ায় কেরালায় এমন ভয়াবহ বন্যা!’
ভারতের কেরালায় শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছে। প্রবল বন্যায় বিপর্যস্ত কেরালা। সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪০০ ছুঁই ছুঁই। বেসরকারি মতে যা আরও অনেক বেশি। লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন। দক্ষিণের রাজ্যের চরম বিপদের মুহূর্তে এগিয়ে এসেছে পাশে দাঁড়িয়েছে দেশটির সকল রাজ্যের মানুষ এবং বিভিন্ন অঙ্গণের তারকারা। পাশে দাঁড়িয়েছে দল-মত নির্বিশেষে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকার। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য।
কিন্তু এমন সময়েও ঘৃণ্য রাজনীতির আশ্রয় নিয়ে অপপ্রচার ছড়াতে পিছপা হচ্ছে না একশ্রেণির উগ্র মৌলবাদী মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে কেরালা বন্যার ‘কারণ’ বিশ্লেষণের নামে কুৎসা রটাচ্ছে তারা। চলছে কেরালা এবং মালয়ালিদের সম্পর্কে অপপ্রচার। যদিও বেশিরভাগ মানুষ এসব পোস্টে রিপোর্ট করছেন এবং প্রতিবাদ করছেন। আবার অনেকে ভয় পাচ্ছেন, গো রক্ষকদের হাতে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার।
ফেসবুকে ভাইরাল এই ধরনের কুৎসিত পোস্টগুলিতে বলা হয়েছে, কেরালা নাকি আজ ধ্বংসের পথে। কারণ সেখানে কুকুরদের নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। হিন্দু দেবতাদের অপমান করা হয়েছে। ধর্ম পরিবর্তনে এগিয়ে কেরালা। শবরীমালায় নারীদের প্রবেশে বাধা। গো-হত্যায় সবচেয়ে এগিয়ে কেরালা। সে রাজ্যের মুসলিম যুবকরা আইএসে যোগ দেয়। এবং সেখানে গো-মাংস খাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কেরালায় গত ১৫ আগস্ট থেকে স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। এই অতিরিক্ত পানি ধরে রাখার ক্ষমতা কেরালার জলাধারগুলির ছিল না। এর ফলেই বাঁধের জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর তার জেরেই ভেসে গেছে গ্রাম থেকে শহর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন