গাইবান্ধায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা

গাইবান্ধায় খাদ্য মন্ত্রণালয় অধীন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গাইবান্ধা জেলা কার্যালয় আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসন সহযোগিতায় সোমবার (১৯ জুন) সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার মাহাতো।

নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক তথ্য তুলে ধরে ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন গাইবান্ধা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. মিলন মিয়া। এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি ও রুহুল আমিন শরিফ উপস্থিত ছিলেন ।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাজহার উল মান্নান, জহুরুল কাইয়ুম, দৈনিক মাধুকর পত্রিকার সম্পাদক কেএম রেজাউল হক, ডেইলি অবজারভার পত্রিকার প্রতিনিধি সরকার মো. শহিদুজ্জামান, দৈনিক কালেরকন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি অমিতাভ দাস হিমুন, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি সিদ্দিক আলম দয়াল, বিটিভির জেলা প্রতিনিধি আবেদুর রহমান স্বপন, ৭১ টিভির প্রতিনিধি ও গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সভাপতি শামীম আল সাম্য, সময় টিভির প্রতিনিধি এস,এম বিপ্লব ইসলাম, ডিবিসির প্রতিনিধি রিক্তু প্রসাদ, এসকেএস ফাউন্ডেশন পাবলিক রিলেশন অফিসার আশরাফুল আলমসহ অন্যান্যরা।

বক্তারা অনিরাপদ খাদ্য থেকে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হোটেল রেষ্টুরেন্টসহ বিভিন্ন খাদ্যের দোকানে ভেজাল খাদ্য ব্যবহার ছাড়াও পরিবেশনের উপর গুরুত্ব দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।

উল্লেখ্য; নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক তথ্যের পটভূমি তুলে ধরে বলা হয় মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদা হলো খাদ্য। মূলত আমাদের অস্তিত্ব খাদ্যের উপর নির্ভরশীল। সুস্থ সবল জাতি গড়তে খাদ্যের নিরাপদতা ও পুষ্টি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ২০০০ সালে বাংলাদেশের জন্য একটি সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নীতি’ প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সু-সংহত করা শুরু হয়। নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করা তাদের নতুন চ্যালেঞ্জ।

এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জনগণের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার আবশ্যকতা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ও দূরদর্শি সিদ্ধান্তে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ প্রনয়ণ করা হয়। ২০১৫ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ কার্যকর হয় এবং ২রা ফেব্রæয়ারি ২০১৫ তারিখ সরকার একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করে।

‘নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা, খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ,সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা এবং একটি দক্ষ ও কার্যক্রর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কার্যকর নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়ে তোলাই হল আইনটির মূল উদ্দেশ্য।