গাইবান্ধায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি দখলের পাঁয়তারার বিরুদ্ধে মানববন্ধন
গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৩ শতক জমি দখলের পাঁয়তারার বিরুদ্ধে সোমবার ২০ মার্চ শহরের ডিবি রোডে নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সামনে মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষানুরাগী, সুশীল সমাজসহ সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মো. মতলুবর রহমান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবিব রাজীব, বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়নুল ইসলাম রাজা, অ্যাড. সেকেন্দার আযম আনাম, আবুল হাসনাত বুলু, জিয়াউল হক জনি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়টি দেশের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি। এই বিদ্যালয়টি সরকারি হওয়ার আগের একজন সহকারী শিক্ষক ছিলেন এ.আর.এম হাফিজুর রহমান। অনৈতিক আচরণের কারণে ওই শিক্ষককে কয়েকবার সতর্ক করে তৎকালীন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত তাকে ১৯৫৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সাময়িক বরখাস্ত ও ১৯৬০ সালের ১৭ জানুয়ারি চূড়ান্তভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তিনি বকেয়া বেতন ৫ হাজার ৮শ ৫০ টাকা দাবি করে বিদ্যালয়ের ৭৩ শতক জমি কৌশলে নিলামে তুলে নিজেই নিলাম ডেকে জমির মালিক হবার অপচেষ্টা করেন এবং বিভিন্ন মামলায় লিপ্ত হন। মামলাগুলোর এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের পক্ষে তদানীন্তন জেলা প্রশাসক হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিল মামলাটির দোতরফা বিচারে গত ২০০৯ সালের ৪ জুন গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষে রায় দেন আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাফিজুর রহমান কোনো আদালতে চ্যালেঞ্জ করেননি। উতোমধ্যে গত ২০১৮ সালের ২৬ মে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক, তার ওয়ারিশ নামধারী ও তাদের সহযোগীরা বিদ্যালয়ের জমি বেদখলের পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
মানববন্ধন শেষে সরকারি বিদ্যালয়ের জমি রক্ষায় জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লিখিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন