গাছকে জড়িয়ে চাঁদের আলোয় সারারাত জেগেছিলেন মহিলারা
১৯৭৪ সাল। উত্তরাখণ্ডের সবুজ বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন ২৮ জন স্থানীয় মহিলা। কোনও অস্ত্র বা ঝামেলা ছাড়াই তাঁরা সক্ষম হয়েছিলেন অঞ্চলের বন রক্ষা করতে। গাছ জড়িয়ে ধরে কাটিয়েছিলেন সারা রাত। তার পরে তাঁদের সঙ্গে হাত মেলান গ্রামবাসী। বাধ্য হয়ে রণে ভঙ্গ দেয় কাঠ-চোরাকারবারীরা।
গাছ বাঁচাতে তাকে জড়িয়ে ধরার ফলে আন্দোলনের নাম হয় ‘চিপকো আন্দোলন’। প্রসঙ্গত, ‘চিপকো’ শব্দের অর্থ ‘আটকে থাকা’। সেদিনের সেই মহিলা আন্দোলনের মূলে ছিলেন গৌরা দেবী।
গাছ বাঁচানোর এমন অহিংস পন্থা ভারতে এর আগেও হয়েছিন বলে জানা গেছে। রাজস্থানের খেজর্লি গ্রামের প্রায় ৩৬৩ জন বাসিন্দা প্রাণ দিয়েছিলেন সেখানকার খেজরি গাছ বাঁচানোর জন্য।
সবুজ বাঁচানোর আসল আন্দোলন উত্তরাখণ্ডে শুরু হয়েছিল ১৯৭৩ সালে। তখন উত্তর প্রদেশের অঙ্গ ছিল এই উত্তরাখণ্ড। এবং আন্দোলনটি শুরু করেছিলেন গাঢ়ওয়ালি পরিবেশবিদ সুন্দরলাল বহুগুণা।
আজ, চিপকো আন্দোলনের ৪৫ বছর উদযাপনে শরিক হয়েছে ‘গুগল ডুডল’। ডুডলে দেখা যাচ্ছে, একটি গাছকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন মহিলা। চাঁদের আলোয় স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে তাঁরা পরস্পরের হাত ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গৌরা দেবী ও তাঁর সঙ্গের সুদেষ্ণা দেবী, বাচনি দেবীদের কুর্নিশ।
বর্তমানে নির্বিচারে যে সবুজ ধ্বংস হচ্ছে, বিশ্ববাসী তার ফল পাচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। তবুও সচেতনতা যেন কোথায় মুখ লুকিয়ে বসে রয়েছে। ফিরে আসুন গৌরা দেবীরা।-এবেলা
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন