গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ‘চ্যালেঞ্জটা নিতে’ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ জাহাঙ্গীর আলমের

আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মা জায়েদা খাতুন ও নিজের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। বুধবার (২৬ এপ্রিল) রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে এ দুটি মনোনয়ন সংগ্রহ করা হয়।

মনোনয়ন সংগ্রহের পর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে আমি ও আমার মায়ের জন্য মনোনয়নপত্র তুলেছি। আমি আরেকবার পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। নির্বাচনে সাধারণ জনগণকে যে ওয়াদা দিয়েছিলাম, আমাকে বরখাস্ত করে তাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে চ্যালেঞ্জটা নিতে যাচ্ছি। এ লক্ষ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজে মনোনয়ন ফরম তুলেছি।

জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না তা নিয়ে এক প্রকার ধোঁয়াশার মধ্যে ছিলেন সমর্থকরা। তিনি শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন সংগ্রহের মধ্যে দিয়ে সব ধোঁয়াশা কেটে গেলো। এখন তার কর্মীবাহিনী নির্বাচনের মাঠে নামার অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীসহ মেয়র পদে চার প্রার্থী বুধবার মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাবেক সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন, গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম আতিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হারুন অর রশীদ।

এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমানসহ অন্য প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।

এর আগে বুধবার বিকেল পর্যন্ত মেয়র পদে ১৩ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯৮ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৪০ জনসহ মোট ৪৫১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে জমা দেন মেয়র পদে চারজন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৬৪ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৯১ জন।

স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থেকে যান তবে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে আজমত উল্লাহ খানের নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও জাতীয় পার্টির লাঙলের মধ্যে একটি জমজমাট লড়াই হবে।

নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ৫৭টি ওয়ার্ডে ভোট নেওয়ার জন্য ৪৭৮টি কেন্দ্র থাকবে, কক্ষ থাকবে ৩৪৯১টি। এছাড়া অস্থায়ী ভোটকক্ষের সংখ্যা ৪৮৬টি। নির্বাচনে ৪৭৮জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩ হাজার ৪৯১ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৬ হাজার ৯৮২ জন পোলিং অফিসার থাকবেন।

তফসিল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন। আগামী ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ৯ মে। ইভিএমের মাধ্যমে ২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে।