গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে ফারজান আরশির বিস্ফোরক অভিযোগ

গান গেয়ে যতটা আলোচনায় এসেছেন, তারচেয়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে বেশি আলোচনায় এসেছেন সংগীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। কয়েকদিন আগে ফেসবুকে নোবেল তার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দিয়ে আবারও আলোচনায় আসেন।

এতে তিনি জানিয়েছেন ফারজান আরশির সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে।

কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই এ প্রসঙ্গে ফারজান আরশি বক্তব্য না দিলেও ২২ নভেম্বর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এতে তিনি নোবেলের সঙ্গে তার বিয়ের বিষয়টি আস্বীকার করেন।

এ প্রসঙ্গে ফারজান আরশি তার ফেসবুকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে নোবেলের বিরুদ্ধে তাকে জোর করে মাদক সেবন করানোর অভিযোগ আনেন।

স্যাটাসে তিনি লেখেন, নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো তোলে। নোবেলের সাথে তার কোনো বিয়ে হয়নি এবং কোনো সম্পর্কও নেই। এ বিষয়ে ডেমরা থানায় জিডিও করেছেন তিনি।

বুধবার বিকেলে ফেসবুকে ফারজান আরশি লেখেন, ‘আমি এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে আছি যে আমার সবকিছু স্বাভাবিক নেই। আমি মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছি তারপরও আপনাদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করছি সবকিছু ক্লিয়ার করার জন্য। আমি খুলনায় বিভিন্ন ব্লগ করে থাকি, সেজন্য একটি ভিডিও কন্টেন্ট বানানোর উদ্দেশ্যে নোবেলের বাড়ি গোপালগঞ্জ যাই। আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবীও ছিল। ওখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায়। নোবেল তার মায়ের সামনেই আমার গলায় ছুরি ধরে, আমার ফোনটি কেড়ে নেয় এবং জোর করে আমাকে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্ন ড্রাগ জোড় ধরে সেবন করায় এবং মারধর করে। আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’

ফারজান আরশি আরও লেখেন, ‘পরবর্তীতে ডেমরা থানায় আমাকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে একটা জিডি করায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে আমার বাবা এবং কাজিন উদ্ধার করতে গেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি নোবেলের কথা মতো ভয়ে পুলিশকেও মিথ্যা বলি তখন আমার শরীরে ড্রাগ পুশ করাছিল। পরে গোপালগঞ্জ থেকে আমার পরিবার আমাকে উদ্ধার করে।’

অন্যদিকে বিভিন্ন সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া ছবি প্রসঙ্গে ফারজান লেখেন, ‘নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে আমাকে দিয়ে ওই ছবিগুলো তুলেছে। নোবেলের সাথে আমার কোনো বিয়ে হয়নি এবং কোনো সম্পর্কও নেই। আমি পরিবেশ এবং পরিস্থিতির স্বীকার।’

স্ট্যাটাসের সব শেষে তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার খুব ভয়ভীতির মধ্যে আছি। আমি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমি একটি মেয়ে আমি আমার পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাই।’