গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন, অন্যান্য দেশের সাথে ইলন মাস্কের কাজ পর্যবেক্ষণের যোগ্য : বাইডেন
দীর্ঘদিনের নানা জল্পনা শেষে সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্ক আরও বেশি উদার, উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কিনে নিয়েছেন। ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ব্যয়ে টুইটার কিনতে গিয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ নিয়েছেন তিনি।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, টুইটার কেনার চুক্তিতে ইলন মাস্কের অংশীদার হিসেবে রয়েছেন সৌদি যুবরাজ আল-ওয়ালিদ বেন তালাল সহ অনেকেই। সবমিলিয়ে, মাস্ক কোম্পানিটি অধিগ্রহণের পর এতে দ্বিতীয় শীর্ষ বিনিয়োগকারী হিসেবে থাকছেন সৌদি নাগরিক তথা রাজপরিবারের সদস্যরা।
এসব নিয়ে সমালোচনা থেমে নেই। শেষ পর্যন্ত মুখ খুলতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি মনে করেন যে মাস্ক (যুক্তরাষ্ট্রের) জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি? সৌদি আরবের একটি সংস্থার সহায়তায় তার টুইটার অধিগ্রহণ মার্কিন সরকার কর্তৃক তদন্ত করা উচিত কিনা? জবাবে জো বাইডেন জানান, তিনি মনে করেন অন্যান্য দেশগুলোর সাথে টুইটার বস ইলন মাস্কের সম্পর্ক “পর্যবেক্ষণ যোগ্য”। বাইডেন বলেন, “আমি মনে করি যে অন্যান্য দেশের সাথে ইলন মাস্কের কাজ করা কিংবা প্রযুক্তিগত সম্পর্কগুলো পর্যবেক্ষণ যোগ্য। আমি বলছি না, তিনি বেঠিক কিছু করছেন। আমার পরামর্শ হলো সেগুলো পর্যবেক্ষণ যোগ্য।”
প্রভাবশালী বৃটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ এর আগে দুজন মার্কিন সিনেটর – ডেমোক্র্যাট রন ওয়াইডেন (অর্থ কমিটির সভাপতি) এবং কানেকটিকাটের ক্রিস মারফি – গত সপ্তাহে টুইটার চুক্তিটি “পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই” করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে ওয়াইডেন বলেন: “সৌদি শাসনের সমালোচকদের কারাগারে পাঠানো, টুইটারে গুপ্তচর বসানো এবং ওয়াশিংটন পোস্টের একজন সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যার ইতিহাসের প্রেক্ষিতে, সৌদি সরকারকে অবশ্যই টুইটার অ্যাকাউন্টের তথ্য, ‘ডিরেক্ট ম্যাসেজেস’ এবং অন্যান্য জায়গায় প্রবেশ করা থেকে অবরুদ্ধ করতে হবে। কারণ, সেগুলো রাজনৈতিক বিরোধীদের চিহ্নিত করতে কিংবা রাজপরিবারের সমালোচনা দমন করতে ব্যবহার করা হতে পারে।
আমি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিয়ে যাচ্ছি যে, খুনি বিদেশি সরকারগুলো থেকে আমেরিকানদের তথ্য রক্ষা করা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ। এই সৌদি শাসনের কাজ পুরোপুরি সেসবের সাথে মিলে যায়।”
হোয়াইট হাউস অবশ্য গত মাসে বলেছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র টুইটার সহ মাস্কের কিছু উদ্যোগের বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা পর্যালোচনা শুরু করার বিষয়ে আলোচনা করছে এমন প্রতিবেদনগুলো “সত্য নয়”। মাস্কের টুইটার কেনার কারণে এমন উদ্বেগ ছড়িয়েছে যে, তিনি অনলাইনে বাক স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকারী দেশগুলোর চাপের সম্মুখীন হতে পারেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন