গুলশানে আগুনের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন

রাজধানীর গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটে আগুনের ঘটনা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস।

এর আগে, শনিবার ভোর পৌনে ৬টার আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে ধাপে ধাপে আরো কয়েকটি ইউনিট যোগ দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় সাড়ে তিন ঘন্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বাজারটিতে গৃহসামগ্রী, মুদি জিনিসপত্র, সবজির বাজার, কসমেটিক্স দোকান, পারফিউমের দোকানসহ প্রায় ৩ শ’র মতো দোকান ছিল। এসব দোকান মালিকদের দাবি, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকা এখন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে।

এদিকে, গুলশান-১ নম্বরের সড়কে ব্যারিকেড বসিয়ে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে পুলিশ। ফলে হাতিরঝিল ও পুলিশ প্লাজা, গুলশান গুদারাঘাট, মহাখালী টিবি গেট ও গুলশান-২ নম্বর থেকে কোনো গাড়ি ঢুকতে পারছে না।

এর আগে সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম দোকান মালিক সমিতিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিনির্বাপক না থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু এই মার্কেট নয়, ঢাকা সিটিতে যতগুলো মার্কেট আছে, সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ কি না কিংবা সেগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আছে কি না সেটা এখন দেখার সময় এসেছে। না থাকলে সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডিসিসি মার্কেটে স্থায়ী বহুতল ভবন তৈরির প্রসঙ্গ টেনে মেয়র বলেন, ডিএনসিসির এই মার্কেটটিতে মামলার জটিলতা আছে। এ কারণে এখানে স্থায়ী মার্কেট করা যাচ্ছে না। আমরা দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে স্থায়ী মার্কেটের দিকে যাব, যেখানে অগ্নিনির্বাপণের যাবতীয় ব্যবস্থা থাকবে।

দুই বছর আগে একই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। সেবার তদন্ত কমিটিগুলো যেসব সুপারিশ করেছিল, সেগুলো মানা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখবেন বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, এর আগেই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। তখন বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার কথা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ী কর্তৃপক্ষ সেই ব্যবস্থা নিয়েছিল কি না, সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখব।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরবেলা একই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সেসময় মার্কেটটির বহু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। এরপর অস্থায়ীভাবে দোকান তৈরি করে মার্কেটটি চালু করা হয়। ২০১৭ সালে আগুনের ঘটনার পর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি মার্কেট কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ করেন আশপাশের লোকজন। তবে আজ ভোরবেলা আগুন লাগার খবর পেয়ে দুই মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট চলে আসে। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার কারণে রাস্তা ফাঁকা ছিল। তাই দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়েছে। এ জন্য ডিএনসিসির সুপার মার্কেট অংশে আগুন ছড়ায়নি।