গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ধর্ষণে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ৬ মাস আগে প্রতিবেশি দাদা কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আবু সরদার (৭৫) নামে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বিচার চেয়ে আইনি সহায়তা চেয়েছে ওই ছাত্রী ও তার পরিবার।

এদিকে ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, আবু সরদার পক্ষে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এ ঘটনাটি আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের পূর্ব কহলদিয়া গ্রামে। অভিযুক্ত আবু সরদার একই গ্রামের মৃত মলফেত সরদারে ছেলে। এ ঘটনা জানাজানি হলে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাড়ীতে ধান কাটার জন্য হাট থেকে কৃষক ক্রয় করে বাড়ীতে আনেন মেয়েটির বাবা, বাড়ীতে ঘুমানোর জায়গা না থাকায় পর্শ্ববর্তী দাদা আবু সরদারের বাড়ীতে ঘুমাতে পাঠান মেয়েকে। গত ১৩ এপ্রিল ২০২৪ রাতে আবু সরদার ওই কিশোরীকে জোর করে কয়েকবার ধর্ষন করে ভয়ভীতি দেখায়।

গত ১৭ অক্টোবর ওই মেয়েরটির শারীরিক পরিবর্তন ঘটলে তার পরিবারকে জানায় প্রায় ৬ মাস আগে আবু সরদার জোর করে ধর্ষন করেছে তাই অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছে।

কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়েটি পাশের একটি হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে, একদম শিশু বাচ্চা। আবু সরদার আমার সম্পর্কে চাচা। বাড়িতে ঘুমানোর সুযোগ নিয়ে আবু সরদার আমার মেয়ের যে ক্ষতি করেছে, তার উপযুক্ত বিচার চাই।

স্থানীয় সালাম সরদার, জালাল চৌধুরী ও আবু সরদারে ছেলে রিপন মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে সময় নষ্ট করছেন। সেই সাথে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য পায়তারা করছে। এ কারণে থানায় অভিযোগ দিতে দেরী হয়েছে। ভয়ভীতির মধ্যে আছেন।

শিশুটির ফুফু সনিয়া বেগম বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাই।

সাবেক স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবু সরদারের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। বাটিকামারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইবাদত মাতুব্বরের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল মুঠোফোনে জানান কিশোরীর পরিবার গতকাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার কাজ চলছে।

উল্লেখ্য আবু সরদার গত তিন বছর আগে তার এলাকার একজনকে ধর্ষণ করেছিলেন। কিন্তু মান-সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা মামলা করেননি।