গ্যালারি মাতাবে ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়দের স্ত্রী-প্রেমিকারা
রাশিয়া বিশ্বকাপে মাঠের লড়াইয়ে চমকে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। মাঠের বাইরে আগের ম্যাচে নজর কেড়েছিলেন ক্রোইয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট। যে দেশের প্রেসিডেন্ট এত সুন্দরী, তাদের স্ত্রী বা প্রেমিকাদের নিয়ে উৎসাহ তো থাকবেই। প্রেসিডেন্টের থেকে কোনও অংশে কম নন ক্রোয়েশিয়ান ওয়্যাগসরাও। বুধবার গ্যালারি মাতাতেও হাজির থাকছেন তাঁরা।
মাঠের লড়াই কতটা জমবে, তা সময় বলবে। তবে গ্যালারির লড়াই ইতোমধ্যেই জমজমাট। গ্যালারির একদিকে ইংল্যান্ড ওয়্যাগসরা। অপরদিকে ক্রোয়েশিয়ার। ব্রিটিশ ওয়্যাগসদের মতো রাশিয়ায় হাজির ক্রোট ওয়্যাগসরাও। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও গ্যালারি মাতাতে তৈরি ভানজা, ফ্র্যাঙ্কারা।
হটেস্ট ওয়্যাগসের তালিকায় প্রথমেই ক্রোট অধিনায়ক ভেডরান করলুকার বান্ধবী ফ্রাঙ্কা বাতেলিচ। বহুমুখী প্রতিভাবান ফ্রাঙ্কা বিখ্যাত গায়িকাও। ২০০৭-এ টিভি শো জিতে সকলের নজরে আসেন। সমকামীতা ও পশুদের অধিকার নিয়ে সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত তিনি।
হ্যারি কেন আর তাঁর ছোটবেলার বান্ধবীর মতো ক্রোট ফুটবলার ডেজান লোভরেন ও তাঁর স্ত্রী অনিতা লোভরেনও ১৬ বছর বয়স থেকে একসঙ্গে। মাঝে অনিতার বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে। তবে বিতর্ক সরিয়ে ফের একসঙ্গে দুই লাভ বার্ডস। রাশিয়াতেও গ্যালারি মাতাবেন অনিতা।
এই ক্রোট ওয়্যাগকে একঝলকে শাকিরা মনে হতে পারে। মিডফিল্ডার মাটেও কোভাসিচের স্টানিং স্ত্রী ইজাবেল। সোশাল মিডিয়াতেও শাকিরার মতোই বিখ্যাত। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ৩ লক্ষের বেশি।
গ্ল্যামারে কম যান ক্রোট প্লে মেকার লুকা মদরিচের স্ত্রী ভানজা বসনিচও। মদরিচের এজেন্ট তাঁর স্ত্রীই। শোনা যায় মদরিচের রিয়াল ডিল নাকি সিল করেছিলেন ভানজাই। তবে স্পোর্টি ভানজা ক্যামেরার পিছনে থাকতেই ভালোবাসেন। নেই কোনও সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও।
ইভান রাকিতিচ আর তাঁর স্ত্রী রাকিল মউরির প্রেমকাহিনি হার মানাবে হলিউডকে। কফি শপের ওয়েটার ছিলেন রাকিল। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যান রাকিতিচ। প্রায় ৩০ বার প্রোপোজের পর বিয়েতে রাজি হন রাকিল।
গ্যালারির উত্তাপ বাড়াতে হাজির থাকবেন ফুটবলার দুজে ক্যালেটাকারের প্রেমিকা আদ্রিয়ানা দুর্দেভিচ। কয়েকদিন আগেই সোশাল মিডিয়ায় টপলেস ফটোশুটে ঝড় তুলেছিলেন এই ক্রোট ওয়্যাগ।
এ যেন বিউটি উইথ ব্রেন। গোলকিপার সুভাসিচের স্ত্রী অ্যান্তোনিয়া বোজজা কলেজ থেকে একসঙ্গে। অ্যান্তোনিয়া পেশায় অধ্যাপক। ২০০৭-এ বিয়ের পর বেশিরভাগ সময়ই মোনাকোতেই কাটান সুভাসিচ-অ্যান্তোনিয়া। নিউজ এইটিন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন