‘গ্রেফতার বন্ধের অঙ্গীকার করলেও সরকার কথা রাখেনি’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পর গ্রেফতার বন্ধের অঙ্গীকার করলেও সরকার কথা রাখেনি। এখনও গ্রেফতার, হামলা ও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। ড. কামাল হোসেন ও আসম আবদুর রবের মত জাতীয় নেতাদের ওপর হামলা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে বগুড়া-৬ আসনে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন অসহায়, ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। তারা সরকারের নির্দেশ পালন করে চলেছে। ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ সৃষ্টি করতে পারেনি। প্রশাসন নিরপেক্ষা নয়; ভোটে জেতার ব্যাপারে সরকারকে সহায়তা করছে।

ফখরুল বলেন, সরকারের এখনও বোধোদয় হয়নি; তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় থেকে জনগণকে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে চাইছে। হামলা-মামলা অব্যাহত রয়েছে।

‌‘আমাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে; তাই আমরা সব বাধা উপেক্ষা করে শেষদিন পর্যন্ত মাঠে থাকব।’

বগুড়ায় দুদিনের নির্বাচনের প্রচারে আজ শেষদিন স্থানীয় উডবার্ন গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ফখরুল।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জামায়াত ও জাতীয় পার্টিকে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। ১৭৩ দিন হরতাল দেন। জনমতকে মেনে নিয়ে আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিলাম। পরপর তিনটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে; প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি।

‘অথচ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে বিতর্কিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সদর আসনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা একেএম মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, বগুড়া-১ আসনের প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৩ আসনের আবদুল মহিত তালুকদার, বগুড়া-৪ আসনে মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৫ আসনে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৭ আসনের মোর্শেদ মিল্টন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।