ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি মানুষের ভাগ্যকেও খুন করেছে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2021/12/images-9-1.jpeg)
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী ‘ক্ষুদ্র অপশক্তি-চক্রের’ গুটিকয়েক ঘাতক শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি,তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্যকে খুন করেছে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারায় বাংলাদেশ সাফল্যের যে জায়গায় পৌঁছেছে, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দুই-দশক আগেই অর্থাৎ ২০০০ সালের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যেত।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বাংলা একাডেমির শাহ আব্দুল করিম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র-সৃষ্টি বিপ্লব: স্বাধীনতার ৫০ বছরে অগ্রগতি ও প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনো মা, মাটি ও মাতৃভাষা- এই তিনটি বিষয়ে আপোস করেননি। পঁচাত্তরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ২১ বছরের জঞ্জাল অপসারণের মধ্যদিয়ে দেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রাম শুরু করেন তিনি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করে প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থাকা কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ইন্টারনেট শিল্প বিপ্লবে শরিক করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। তিনি মোবাইল ও কম্পিউটার প্রযুক্তি জনগণের জন্য সহজলভ্য করার উদ্যোগও নেন। এরই ধারাবাহিকতায় মোবাইলের টু-জি প্রযুক্তির পর ২০১৩ সালে থ্রি-জি, ২০১৮ সালে ফোর-জি এবং ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর ৫-জি যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ ভিশনারি শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আরও বলেণ, ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে প্রথম ফাইভ-জি চালু হওয়ার মাত্র দুবছরের ব্যবধানে ফাইভ-জি প্রযুক্তির যুগে আমরা। এটা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বিশ্বে বাংলাদেশের সক্ষমতারই বহিঃপ্রকাশ। যা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে ধাববান অর্থনীতির ইতিবাচক পদক্ষেপ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ৫০ বছরের বাংলাদেশ বিশ্বে এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠান শেষে ‘বাংলাদেশ: সংগ্রাম সিদ্ধি মুক্তি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন