চট্টগ্রামের মিরসরাই বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, সাবেক মন্ত্রী ও এমপিসহ ৯০ জনের নামে মামলা

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা বিএনপির দলীয় ভাংচুর করার অভিযোগে ৮ বছর পর সাবেক, মন্ত্রী, এমপি ও তিন উপজেলা সহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এস.এম হারুন বাদি হয়ে মিরসরাই থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। এ মামলায় এজাহারনামীয় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।

এছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব রহমান রুহেল, সাবেক উপজেলা উপজেলা চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, এনায়েত হোসেন নয়ন, মিরসরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র গিয়াস উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র রেজাউল করিম খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া সহ ১৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মিরসরাই পৌরসভার সকল কাউন্সিলরকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মিরসরাই পৌর ভবনের পাশে অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব রহমান রুহেলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ৮০ থেকে ১০০ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ভাংচুর করে। বুলডেজার দিয়ে ভবন গুটিয়ে কার্যালয়ে থাকা টিভি, আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি করে। এসময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয় তৎকালীন এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে স্বৈরাচার সরকারের অনুসারীদের ভয়ে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। উল্টো উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন দুই পৌরসভার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করে।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জানান, বিএনপির কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে হারুন নামে একজন বাদী হয়ে মামলা একটি মামলা করেছেন। মামলায় এজাহারনামীয় শহীদ খাঁন নামে একজনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।