চট্টগ্রামে ইফেক্ট বিল্ডার্সের এমডি গ্রেপ্তার, ডিএমডি পলাতক
চট্টগ্রামের চেক প্রতারণা মামলার এক সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে খুলশী থানার পুলিশ ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছেন। গত বৃহস্পতিবারল তাঁকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানাধীন মোমেনবাগ চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. নিজামুল হক কিরণ (৪২) ফেনীর দক্ষিণ ছনুয়া এলাকার বশির আহাম্মদের ছেলে। কিরণ চট্টগ্রামের খুলশী জাকির হোসেন রোড় এলাকায় ইফেক্ট বিল্ডার্স এন্ড হাউজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বিভিন্ন জনের জমি নিয়ে ইফেক্ট বিল্ডার্স এন্ড হাউজিং লিমিটেড এর সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ফ্ল্যাট তৈরি করে বুঝিয়ে দেবেন বলে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারণা করে আসছেন। তার সঙ্গে ছিলেন ভাই ডিএমডি পদধারী মো. এনামুল হক সবুজ। তিনিও বিভিন্ন মামলায় ১২ মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
পুলিশ জানায়, খুলশী থানার এসআই মো. রুবেল শেখ, মো. শাহেদ খান এবং এএসআই সোহেল আহমেদ ও রাজীব দের নেতৃত্বে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি কিরণকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিরণ ও তার সহযোগীরা মিলে দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে কিছু মানুষ ও ব্যাংকের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে পাওনাদাররা তার বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে খুলশী থানায় দুটি, কোতোয়ালী থানায় দুটি ও ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্র জানায়, তার বিরুদ্ধে যুগ্ম মহানগর দায়রা জাজ ৩য় আদালত চট্টগ্রামের দায়ের করা মামলা নং-২২৫০/২১। যা সি.আর ২২৯১/১৯ কোতোয়ালি থানাধীন মামলার বাদি নগরীর নাসিরাবাদ এলাকার শহীদ আহমদ চৌধুরী। একই আদালতে অপর মামলা নং-২২৪৯/২১। যার সি.আর ২৮৩৬/১৯। আসামিদের বিরুদ্ধে দুই মামলায় ১২ মাসের সাজা হয়। সম্প্রতি নিজামুল হক কিরণ (৪২) গ্রেপ্তার হলেও পলাতক রয়েছেন তার আপন ভাই এনামুল হক সবুজ (৪০)।
নগরীর কোতোয়ালী থানায় ওসি জাহেদুল কবির জানান, ‘পলাতক থাকা এনামুল হক সবুজ (৪০) কে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। খুব শিগগরই তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন