চট্টগ্রামে জঙ্গি আস্তানায় দুই মরদেহ, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকার জঙ্গি আস্তানায় পরিচালিত র্যাবের অভিযান শেষ হয়েছে। অভিযান শেষে সেখান থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আস্তানা থেকে একটি এ কে টোয়েন্টি টু রাইফেল, তিনটি পিস্তল ও পাঁচটি গ্রেনেড উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা। অভিযান শেষে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘আমরা জঙ্গি আস্তানাটি থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তবে তাদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। গত ২৮ সেপ্টেম্বর সোহেল নামে একজন ওই বাসাটি ভাড়া নেয়। ওই বাসায় একজন নারীসহ চারজন থাকার কথা ছিল।’
আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন কাগজের সূত্র ধরে তিনি দাবি করেন, জঙ্গি সদস্যরা চট্টগ্রাম আদালতসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়ির মালিক ও কেয়ারটেকারকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ভোর তিনটার দিকে এই বাড়িটি ঘিরে ফেলে র্যাব। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এর আধাঘণ্টা পর সাড়ে তিনটার দিকে ওই বাড়ির ভেতরে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সকাল পৌনে ৯টার দিকে সেখানে সুইপিংয়ের কাজ করতে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পৌঁছায়। তারা এসময় অবিস্ফোরিত বোম্ব ও অস্ত্র উদ্ধার করে। র্যাবের অভিযানও অব্যাহত থাকে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে র্যাব অভিযানের সমাপ্ত ঘোষণা করে।’
এর আগে ভোরে চট্টগ্রামের র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাশকুর রহমান জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে রাতে জোরারগঞ্জ এলাকায় অভিযানে যায় র্যাব। রাত ৩টা থেকে র্যাব সদস্যরা ওই জঙ্গি আস্তানা ঘিরে রাখে। এসময় আধা ঘণ্টার মতো বন্দুকযুদ্ধ হয়। এরপর বাসাটির ভেতরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ঘরের টিন উড়ে য়ায়।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন