চট্টগ্রামে বেসরকারি চিকিৎসা বন্ধ, চরম ভোগান্তিতে রোগীরা

দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বেসরকারি পর্যায়ে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হয়েছে। চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারও বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখা এই ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার প্রায় ৬০০ চিকিৎসা কেন্দ্রে রোগী ভর্তি ও রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষানিরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে রোগীরা।

গতকাল সকাল থেকে দেখা গেছে নগরী ও জেলার বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল, ক্লিনিকে সেবা বন্ধ রাখার সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বার বন্ধের নোটিশও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকায় রোগীরা ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে।

অনেক রোগী ও তাদের স্বজনদের সকাল থেকে বিভিন্ন ল্যাব ও ক্লিনিকের সামনে অসহায় অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে নতুন করে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগ নির্ণয়ের এন্টি বন্ধ রাখা হয়েছে। বেসরকারিতে ধর্মঘটের কারণে রোগীরা সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছে।

উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল রাতে পটিয়া পৌরসভায় বেসরকারি ‘পটিয়া জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেডে’ কর্তব্যরত চিকিৎসক রক্তিম দাশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ১৪ এপ্রিল সকালে নগরীর ও আর নিজাম রোডে বেসরকারি মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে হামলার শিকার হন ঐ হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন শিবলু।

চট্টগ্রাম প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলী খান ইত্তেফাককে বলেন, ‘সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে নিবন্ধিত ৫৮০টি বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ল্যাব আছে। সবগুলোতেই জরুরি সেবা ছাড়া অন্য কোনো সেবা দেওয়া হচ্ছে না। তবে যেসব রোগী আগে থেকে ভর্তি আছেন, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে।’

বিএমএ, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দাবি একেবারে সুনির্দিষ্ট। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আজকের (মঙ্গলবার) পর আমরা আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা করব।’