চলনবিলাঞ্চলে কনকনে ঠান্ডায় স্থবির জনজীবন

নদনদীবেষ্টিত চলনবিল অঞ্চলে পৌষের মাঝামাঝিতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি উত্তরে হিমালয় থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসে হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা।

গত তিন দিনের ব্যবধানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি থেকে ১১ ডিগ্রিতে নেমেছে। শীতের দাপটে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিকেল গড়াতেই তাপমাত্রা নামছে পাল্লা দিয়ে। সন্ধ্যার পর শুরু হচ্ছে কুয়াশাপাত। মাঝরাতে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। পাশাপাশি থেমে থেমে বইছে ঠান্ডা বাতাস। ঘন কুয়াশা থাকছে বেলা ২টা পর্যন্ত।

গত কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। শীত আর হালকা শৈত্যপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন মানুষ। কনকনে শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে কাজে যেতে পারেননি অনেকেই। বিল অঞ্চলে আগাম বোরো আবাদের প্রস্তুতি চলছে। তৈরি করা হচ্ছে বীজতলা। কৃষি শ্রমিক আকবর আলী,শাহাদতসহ অন্যরা জানান, কয়েক দিন ধরে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। বইছে ঠান্ডা বাতাস। স্থানীয়রা জানান,আগের থেকে তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে এসেছে। শীতের মাত্রাও বাড়ছে। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে। দিনেও আগের মতো গরম নেই। বিকেল গড়ালেই ঠান্ডা লাগতে শুরু করে। এদিকে দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ।

এ সময় হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। পেটের দায়ে অনেক শ্রমজীবী মানুষ কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে বের হচ্ছেন।

এদিকে হাট-বাজার ও হকার্স মার্কেটে গরম কাপড় কিনতে ভীড় করছে নিম্ন ও মধ্যবৃত্ত মানুষ। নতুন ও পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে সাধ্যমতো শীতের পোষাক কিনছেন নারী-পুরুষ। শিশুদের গরম কাপড় কিনছেন নিম্ম আয়ের মানুষ।

চাটমোহর হকার্স মার্কেটে শীতের কাপড় কিনতে আসা জহুরুল ইসলাম বলেন, সব বয়সী মানুষের গরম কাপড়ের দাম বেশি। বিপণী বিতানগুলোতে অনেক দাম। নিম্ন আয়ের মানুষ ফুটপাতে ও হকার্স মার্কেটে আসে কম দামে পোশাক কিনতে।