চাঁদপুরে দেবী সরস্বতীর প্রতীমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা
বিদ্যার দেবী সরস্বতী। শুভ্র তার গায়ের রঙ। আগামী ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম এ পূজা। তাইতো ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে চাঁদপুরের প্রতিমা তৈরির কারিগররা। ইতোমধ্যে কাঠামো ও দো-মাটির কাজ শেষ পর্যায়ে। এরপরই শুরু হবে রঙ তুলির ছোঁয়ায় প্রতিমার রূপ ফুটিয়ে তোলার মূল কাজ।
শনিবার চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ী মন্দির, গোপাল জিউর আখড়া, পুরানবাজার হরিসভা মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমা শিল্পীরা তাদের কল্পনায় সরস্বতী দেবীকে অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিতে রাতভর পরিশ্রম করছে। এবারের প্রতীমা ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা দাম হাকাতে চান তারা।
চাঁদপুর কালী মন্দিরের প্রতীমা কারিগর সুকুমার পাল বলেন, দম ফেলার সময় পাচ্ছি না। এবার পূজোতে প্রতীমার চাহিদা বেড়েছে। তবে প্রতীমা তৈরিতে আমাদের আনুসাঙ্গিক খরছও কম নয়। তাই সুন্দরভাবে প্রতীমাগুলো বিক্রি করতে পারলেই পরিশ্রম স্বার্থক।
চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ বলেন, স্বরস্বতী পূজাকে ঘিরে এখন হিন্দু পাড়া মহল্লা গুলোতে আগাম উৎসবের আমেজ বয়ে চলছে। কেননা সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, জ্ঞান ও বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী তার আশীর্বাদের মাধ্যমে মানুষের চেতনাকে উদ্দীপ্ত করতে প্রতি বছর আবির্ভূত হন ভক্তদের মাঝে। শিক্ষার্থীরাই এ পূজায় মনোযোগী হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘরে ঘরে এবং মন্দিরে স্বরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনিক সকল নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠু এবং সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হবে পূজার সকল আনুষ্ঠানিকতা এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, আগামী ২৬ জানুয়ারি স্বরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। জেলার সবকটি মন্দিরে সরকারী সকল নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বরস্বতী পূজার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে সনাতনী নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ সমন্বয় রয়েছে। অতএব জেলা পুলিশ যেকোন অপতৎপরতা রুখে দিতে পূজোর নিরাপত্তায় মাঠে সব সময় তৎপর রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন