চিপসের কৌটার মধ্যে করে জ্যান্ত বিষধর শঙ্খচূড় সাপ আমদানি
আমেরিকান কর্মকর্তারা বলছেন তিনটি ভয়ঙ্কর বিষধর শঙ্খচূড় বা কিং কোবরা সাপকে চিপসের কৌটায় ভরে পাঠানো হচ্ছিল ক্যালিফোর্নিয়ার যে ব্যক্তির ঠিকানায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রডরিগো ফ্র্যাঙ্কো নামে ৩৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে লস এঞ্জেলসে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে চোরাপথে সাপ আমদানির অভিযোগ আনা হয়েছে। শুল্ক কর্মকর্তারা মার্চ মাসে হংকং থেকে জনৈক ফাঙ্কোর পাঠানো একটি প্যাকেট পরীক্ষা করে দেখতে গিয়ে প্রায় দুই ফুট লম্বা সাপগুলো আবিষ্কার করেন।
ওই একই চালানে ছিল তিনটি দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির অ্যালবিনো চীনা কচ্ছপও। কর্মকর্তারা সাপগুলো নিরাপত্তার স্বার্থে বাজেয়াপ্ত করেছে, তবে কচ্ছপগুলো ফ্যাঙ্কোর ক্যালিফোর্নিয়ার বাসায় পৌঁছে দিয়েছে।
তারা ফ্র্যাঙ্কোর বাসা তল্লাশি করে সেখানে শিশুদের শোবার ঘরে একটি পানির ট্যাঙ্কে জ্যান্ত একটি বিশেষ প্রজাতির কুমিরের বাচ্চা, এবং বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ও বিশেষ প্রজাতির কচ্ছপ পেয়েছে। সরকারি কৌঁসুলিরা বলছেন এগুলো সবই আমেরিকার আইনে সুরক্ষিত প্রজাতির প্রাণী। অভিযোগে বলা হয়েছে ফ্র্যাঙ্কো এশিয়ায় এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে হংকং থেকে আমেরিকায় কচ্ছপ চালান দেবার ব্যাপারে টেক্সট বার্তা আদানপ্রদান করেছিলেন।
তল্লাশির সময় পাওয়া এই টেক্সট বার্তাগুলোয় ফ্র্যাঙ্কো একথাও বলেছেন যে তিনি অতীতেও জ্যান্ত গোখরা প্রজাতির সাপ আনিয়েছেন এবং এর মধ্যে পাঁচটি সাপ তিনি ভার্জিনিয়ায় তার আত্মীয়দের দেবার পরিকল্পনা করেছিলেন। এসব তথ্য আদালতের নথিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
আদালতের নথি থেকে আরও জানা যাচ্ছে তিনি আমেরিকার মৎস্য ও বন্যপ্রাণী বিভাগের এক কর্মকর্তার কাছে একথাও স্বীকার করেছেন যে এর আগে দুটি চালানে তিনি ২০টি বিষধর শঙ্খচূড় বা কিং কোবরা আমদানি করেছিলেন, কিন্তু আনার সময় ওই সবগুলো সাপ মারা গেছে।
তবে যে কোবরাগুলো তিনি আত্মীয়দের দেবার পরিকল্পনা করেছিলেন সেগুলোই আনার সময় মৃত সাপগুলোর ওই চালানের অংশ ছিল কীনা তা স্পষ্ট নয়। যে তিনটি বিষধর শঙ্খচূড় মার্চ মাসে শুল্ক কর্মকর্তারা বাজেয়াপ্ত করেছেনে সেগুলোর মধ্যে দুটিকে এখন স্যান ডিয়েগোর চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছে।
তৃতীয়টি অজানা কারণে মারা গেছে বলে কর্মকর্তারা লস এঞ্জলেস টাইমস পত্রিকাকে জানিয়েছেন। দোষী প্রমাণিত হলে ফ্র্যাঙ্কোর বিশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। শঙ্খচূড়কে বলা হয় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বিষধর সাপ। যার দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ১৮ ফুটের বেশি হতে পারে বলে প্রাণীবিজ্ঞানীরা বলেন। এটি মূলত সম্পূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ার বনাঞ্চল জুড়ে দেখা যায়।-বিবিসি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন