চুয়াডাঙ্গায় আগ্নেয়াস্ত্র-ছুরি-টাকাসহ আটক আলোচিত রুপার জামিন

কোন অপরাধটা করেনি তিনি-এটা ভাবতে গেলেও ঠিকমত ধরা পড়ে না। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সখ্যতাই ছিলো তার আসল পুঁজি। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের নেত্রী হিসেবে চলাফেরা ছিলো তার।

বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসাকে সাথী করে টাকার স্তূপ তৈরী করায় ছিলো তার নেশা। তিনি চুয়াডাঙ্গার শ্মশানপাড়ার বটে আলীর মেয়ে রুপা খাতুন নিজ এলাকায়ই নয় তার নাম চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে সমালোচিত। পতিতাবৃত্তির গুঞ্জনও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রাস্তা দিয়ে হাঁটলেই তার দিকে তাকায় না এমন কেউ নেই বললেই চলে।

তার সুনাম না থাকলেও দুর্নামের আলোকে চেনেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তিনি একজন নারী হলেও তার কার্যক্রম ছিলো পুরুষের মতো। এমনকি মাদকের সাথেও রয়েছে তার পরম সম্পর্ক। আর এসব রামরাজত্ব চালাতে তার কাছে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদক অস্ত্র বাড়িতেই থাকতো।

বিভিন্ন নামিদামি লোকের যাতায়াত ছিলো তার বাড়ীতে। এমন কুচক্রি মানুষটি গত (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাত আনুমানিক ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গার শ্মশানপাড়ার নিজ বাড়ী থেকে
একটি রাইফেল, ভিসা, অপটিক্যাল সাইট, নগদ সাড়ে ৭ লাখ টাকা, তিনটি মোবাইলফোন, দুটি দেশীয় অস্ত্র (কিরিচ), একটি হুক্কা ও ছয়টি মদের খালি বোতল জব্দ করা হয়েছিলো।

পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তারই অংশ হিসেবে তাকে জামিনের আদেশ দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত।

আজ (৩১ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর আলী শেখ তাকে ১ হাজার টাকা বেলবন্ডে পুলিশ রিপোর্ট না দেয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়িত্বরত পিপি অ্যাড. আবুল বাশার বলেন, রুপার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে তাকে মুক্তির আদেশ দেয়া হয়েছে। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাড. নাজমুল হাসান লাভলু।