চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির সংঘর্ষ: নিহত ১
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা নাটুদহ ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের ফকিরপাড়া মোড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মারাত্মক জখম বিএনপি কর্মী সুলতান হোসেন (৪৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গতকাল বুধবার (৩১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে, এ হামলার ঘটনায় সোহরাব উদ্দীন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর দামুড়হুদার নাটুদহের ডিসি ইকো পার্কের অদূরে বোয়ালমারী গ্রামের ফকিরপাড়া মোড় নামক স্থানে স্থানীয় বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে দু’পক্ষই রক্তাক্ত জখম হয়।
প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয় বিএনপি কর্মী সুলতান হোসেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত তাকে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকেও কর্তব্যরত চিকিৎসক সুলতান হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) সুলতান হোসেনের ছেলে পলাশ উদ্দীন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। ওই মামলার ৩নং আসামী নাটুদহ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের গোচিয়ারপাড়ার মৃত ভরস আলীর ছেলে সোহরাব উদ্দিনকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, গতকাল বিকেলে অভিযান চালিয়ে এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন