চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে স্বর্ণপাচারকারীর মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গায় ১০ কোটি টাকার ৬৮টি স্বর্ণের বার ভারতে পাচার করতে গিয়ে মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে মিরাজ মÐল (২০) নামের এক যুবকের মৃত্যু
হয়েছে।
রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরের দিকে তাঁর শরীরে স্বর্ণের বার বেঁধে মাথাভাঙ্গা নদীপথে কলার ভেলায় করে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে যাত্রা
শুরু করে দুই পাচারকারী। সেসময় নদীর মাঝখানে পৌঁছালে হঠাৎ ¯্রােতের তীব্রতা বেড়ে গেলে শরীর থেকে ভেলাটি সরে যায়। একপর্যায়ে
১০ কেজি স্বর্ণের বারের ওজনে পানিতে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর
সীমান্ত পিলার ৮০/১-আর’র কাছে ২৫ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

মিরাজ মÐল উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের ভাটপাড়ার ইয়াসিন মÐলের ছেলে।

বিজিবি ও স্থানীয়দের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে কোনো এক চোরাকারবারী দামুড়হুদার সীমান্ত দিয়ে ভারতে স্বর্ণের বড় চালান পাচার
করবে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে নাস্তিপুর সীমান্তের গাংপাড়ায় বিজিবি সদস্যরা অবস্থান করেন। এক পাচারকারী পালিয়ে
এসে স্থানীয়দের কাছে বলে। পরে তারা মিরাজ স্বর্ণের বার নিয়ে মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছে বলে বিজিবিকে খবর দেয়।
তৎক্ষণাৎ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। দুপুর থেকে অভিযান চালালে বিকাল ৪টার দিকে
তাঁর লাশ উদ্ধার হয়। সেসময় তাঁর শরীরে বাঁধা কাপড়ের ৪টি পুটলিতে ছোট-বড়সহ মোট ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বিজিবি। যার ওজন ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম। আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি ২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং স্বর্ণের বারগুলো রাতেই
চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে। দর্শনা থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন ছিল।