চুয়াডাঙ্গায় স্বর্ণ চোরকারবারী দু’গ্রুপের সংঘর্ষ; ২জন গুরুত্ব জখম
চুয়াডাঙ্গায় চোরাচালানকারী দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২জন গুরুত্ব রক্তাক্ত জখম হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) রাত ৯ টার দিকে জীবননগরের শাহাপুর গ্রামে স্বর্ণ ভাগাভাগি নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা জানাজানির পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৩ স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ।
সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ১ কেজি ৮শ গ্রাম ওজনের ৪টি স্বর্ণের বার। পরে রাতে জখম দুইজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় অন্যত্র রেফার্ড করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, জীবননগর উপজেলার ঘুগরাগাছি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের খানের ছেলে মাজহারুল ইসলাম খান পল্টু (৩২), একই গ্রামের হাসেম খানের ছেলে আছির উদ্দিন (৪২) ও জীবননগর উপজেলার বাড়ানদি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ খানের ছেলে শাহাবুদ্দিন খান (৪৫)।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে স্বর্ণ চোরকারবারি দুটি গ্রুপের সদস্যরা জীবননগরের শাহাপুরে অবস্থান করছিল। এসময় স্বর্ণ ভাগাভাগি নিয়ে ওই দু’গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায় উভয় পক্ষ। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুই জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়- এমন গোপন সংবাদ পেয়ে শাহাপুর এলাকায় অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। পুলিশের অভিযানে আটক হয় শাহাবুদ্দিন এবং আহত পল্টু ও আছির উদ্দীন। উদ্ধার করা হয় ১ কেজি ৮শ গ্রাম ওজনের ৪টি স্বর্ণের বার। পরে আহত দুজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ সদস্যরা।
এ ঘটনার পর জীবননগর থানায় উপস্থিত হয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, দুইদল স্বর্ণ চোরাচালানকারীর মধ্যে স্বর্ণ ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তিনজন আটক ও চারটি স্বর্ণেরবার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ১৫৯ ভরি (১ কেজি ৮০০ গ্রাম), আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওই দুই গ্রুপের বাকি অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল জানান, আহত দুইজনের পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মাজহারুল ইসলাম পল্টুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন