চুয়াডাঙ্গায় কুকুর বাঁচাতে প্রাণ গেল নতুন বরের
চুয়াডাঙ্গায় মোটরমাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে শামিম হোসেন নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
(২ মার্চ বৃহস্পতিবার) রাত ৮টার দিকে সদরের দর্শনা-হিজলগাড়ি সড়কের কৃষি খামারের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেসময় আহত হয়েছেন শামিম হোসেনের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (১৬) এবং শ্যালক সজিবের স্ত্রী শেফালী খাতুন (২৩)। তারা সবাই এক মোটরসাইকেলেই আরোহি ছিলেন।
নিহত শামিম সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ফুরশেদপুর গ্রামের মৃত শফি উদ্দিন এর ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, জেলা সদরের বলদিয়া গ্রামে গত শুক্রবার শামিম হোসেন এর সাথে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয় সোনিয়া খাতুনের।
গতকাল (২ মার্চ) বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শ্বশুর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্ত্রী সোনিয়া খাতুন ও শ্যালক সজিবের স্ত্রী শেফালীকে নিয়ে বাইরে বের হয়। দর্শনা-হিজলগাড়ি সড়কের কৃষি খামারের কাছে পৌঁছালে হঠাৎ একটা কুকুর মোটরসাইকেলের সামনে চলে আসে। কুকুরকে বাঁচাতে শামীম হোসেন কষে ব্রেক মারে। সেসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সাথে সজেরে ধাক্কা লাগে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মুস্তাফিজুর রহমান তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। সেসময় স্ত্রী সোনিয়া খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহীতে রেফার্ড করার পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু শ্যালকের স্ত্রী শেফালী খাতুন শঙ্কামুক্ত অবস্থায় রয়েছে।
তবে, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বিয়ের সাতদিনের মাথায়ই প্রাণ হারাতে হলো শামীম হোসেনকে। ঠিকমত মেহেদীর রঙ এখনও মোছেনি মৃত শামিমের। এ দুর্ঘটনায় মৃত শামীমের নিজ বাড়ীসহ নতুন শ্বশুরবাড়ীতে শোকের মাতম ঘুরপাক খাচ্ছে। সেইসাথে ভারী হয়ে উঠেছে অত্র অঞ্চলের বাতাস।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, নিহত শামীমের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন