চুয়াডাঙ্গায় ভারত ফেরত নাগরিকরাই করোনা মহামারির কারণ
আবারও কী ফিরে আসবে সেই ইতিহাসের চিরচেনা আতঙ্ক? নিয়ে যাবে কী হাজার হাজার লাখো লাখো প্রাণ? তেমনই আশঙ্কায় আবারও চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভেরিয়েন্ট করোনার নতুন উপধরন বিএফ-৭।
এর আগে করোনার যত উপধরনে মহামারি তৈরি করেছে তার থেকে চার গুন হারে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে নতুন এই বি.এফ-৭। ফলে উদ্বেগ শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গাতেও। যার কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে আতঙ্ক এখন বিদেশফেরতদের নিয়েই। এখন যেসব পাসপোর্টধারী যাত্রী বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সীমান্ত দিয়ে ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে ফিরবে তারাই করোনার আতঙ্ক ছড়ানোর বিশেষ কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিদেশফেরত একজনের নতুন উপধরন বি.এফ-৭এ আক্রান্ত হয়েছেন। যারা এই মুহূর্তে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে তাদেরকে করোনার যথাযথ টেস্টিং বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। আর চীনে প্রথম শুরু হওয়া বিএফ-৭ চুয়াডাঙ্গার সাথে গা-ঘেঁষা ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে ওই ভেরিয়েন্ট।
করোনার বিস্তার যাতে না ঘটে সেজন্য খুলনা বিভাগের যশোর বেনাপোলসহ দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর চুয়াডাঙ্গার জন্য মহামারির আতঙ্কের বিশেষ কারণ রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যেতে না পারলেও ভারত থেকে প্রতিদিনই দেড়শো থেকে দুইশো পাসপোর্টধারী যাত্রী চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর দিয়ে যাতায়াত করছে। যা প্রথমার্ধে চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে। ঠিক সেসময় করোনার নতুন উপধরন বিএ.এফ-৭ প্রতিরোধে গত ২৪ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে এক নির্দেশনা পাওয়ার পর চেকপোস্টে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে চেকপোস্টের হেলথ স্ক্রিনিং বুধ। জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
ভারত ফেরত নাগরিকদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা শুরু হয়েছে।
এদিকে, ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন দর্শনা স্থল বন্দর দিয়ে ১৫০ থেকে ২০০ পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারত থেকে যাতায়াত করছে। স্থলপথে যেসব ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করে শুধু তাদেরই সতর্কতার সাথে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে।
দর্শনা সীমান্ত চেকপোস্টে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার শামীম আহমেদ ও মোখলেসুর রহমান জানান, গত ২৪ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে করোনার নতুন উপধরন বি.এফ-৭ শনাক্ত প্রতিরোধে সতর্কতার সাথে কাজ করতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী যথাযথভাবে বিভিন্ন টেস্ট করা হচ্ছে।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের সুপারিনটেন্টডেন্ট মীর্জা কামরুল হাসান জানান, দর্শনা স্টেশনে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এ·প্রেস সপ্তাহে ৬দিন যাতায়াত করে। দর্শনা স্টেশনে মাত্র ১৫ মিনিটের বিরতি থাকে, যেখানে শুধুমাত্র খাবার পরিবেশন ও ক্রু বদলানোর কাজ শেষে স্টেশন ত্যাগ করেন। এছাড়া ভারতীয় মালবাহী ট্রেনে যারা চালক ও সহকারি হিসেবে আসেন তারা আধাঘণ্টার মধ্যেই দর্শনা ছেড়ে চলে যায়।
দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ সহকারি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফারহানা ওয়াহিদ জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই আমরা আগে থেকেই সতর্কতার সাথেই সীমান্তে স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা কাজ করে আসছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন