ছাগলের শক্তিতে বাঁচতে চায় পাকিস্তানি বিমান সংস্থা
জন্ম হয়েছিল কলকাতা থেকে৷ পরে অনেক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় বিমান সংস্থা ‘পিয়া’৷ ক্রমাগত লোকসানের ধাক্কায় সংস্থাটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ চলছে বিতর্ক৷ এরই মাঝে নিজেকে ফের বদলে নিল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স(PIA)৷
জানা গেছে, গত শনিবার সংস্থার লোগোতে পরিবর্তন হয়েছে৷ বিমানের পিছনের ডানায় উঠে এসেছে মারখোর নামের অতি বিপন্ন পাহাড়ি প্রানী৷ মারখোর’র বাংলা নামটি হল সাপশিঙি বনছাগল৷ অর্থাৎ সাপের মতো প্যাঁচালো এই পশুর শিং৷
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, অভিনব ও বিপন্ন এই প্রাণীর ছবি দেওয়া লোগো ব্যবহারে বিশ্বজুড়ে ছড়াবে মারখোরের কথা৷ সেই সঙ্গে বিমান সংস্থার লুক পাল্টাবে৷ এটি বহুজাতিক অন্যান্য বিমান সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতার জন্য দরকারি৷ এর আগেও পিয়া তার ডিজাইন পরিবর্তন করেছে৷
কী এই মারখোর ? বিপন্ন প্রজাতির এই পাহাড়ি ছাগল পাকিস্তানের জাতীয় পশু৷ “মারখোর” শব্দটি দুটি ফার্সি শব্দ ‘মার’ ও ‘খোর’ নিয়ে তৈরি৷ ফার্সিতে ‘মার’ অর্থাৎ ‘সাপ’ এবং ‘খোর’ অর্থাৎ ‘ভক্ষক’৷ এর মানে দাঁড়ায় যে প্রাণী সাপ মেরে খেতে পারে৷ বন্য ছাগলটি সাপ মারতে পারে৷ তাই এর নাম মারখোর৷ কিছু বিশেষজ্ঞের মতে এদের সাপের মতো পেঁচিয়ে থাকা শিং আছে৷ তাই এর নাম মারখোর৷
আফগানিস্তান, উত্তর পাকিস্তান, দক্ষিণ তাজিকিস্তান, দক্ষিণ উজবেকিস্তান ও জম্মু ও কাশ্মীরে দেখা মেলে এই মারখোরের৷ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কমতে কমতে বর্তমানে ২০০০ এর মতো মারখোর টিকিয়ে রেখেছে নিজেদের অস্তিত্ব৷ এই কারণে পাকিস্তান সরকার এই বিপন্ন প্রাণীকে জাতীয় পশুর তকমা দিয়েছে৷
পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডন জানাচ্ছে, এই পরিবর্তন বেশ চমকপ্রদ৷ দেশের জাতীয় বিমান সংস্থা নিজেকে নতুন করে তুলে ধরতে উদ্যোগ নিল৷ ‘পিয়া’ মুখপাত্র মাসুদ তাজওয়ার জানিয়েছেন, মন্দাভাব কাটিয়ে সংস্থাকে লাভবান করতে এই পরিবর্তন জরুরি ছিল৷
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন