ছড়িয়ে পড়া রোহিঙ্গারা অবৈধ হবেন : আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মুসলিম রোহিঙ্গারা শরণার্থী শিবির ছেড়ে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়লে আইন অনুযায়ী তাদের অবৈধ ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হবে। সোমবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
দুর্গাপূজা, পবিত্র আশুরার নিরাপত্তা ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে পুলিশের ভূমিকা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আইজিপি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে পড়লে আইন অনুযায়ী তাদের অবৈধ বলেই গণ্য করা হবে। তারা শরণার্থী শিবিরের বাইরে গেলে কাজ করার চেষ্টা করবে, এদেশের নাগরিক হওয়ার চেষ্টা করবে, পাসপোর্ট নেয়ার চেষ্টা করবে। এগুলো হতে দেয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারে, প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়তে পারে। অনেক কিছুই ঘটতে পারে তাই তাদের শিবির থেকে বের হতে দেয়া যাবে না।’
শহীদুল হক বলেন, ‘যেহেতু রোহিঙ্গারা শরণার্থী, মানবিক দিক বিবেচনা করে তারা ছড়িয়ে পড়লে তাদের ধরে আবার শিবিরে ফেরত পাঠানো হবে।’
রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, যেখানে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এসব চেকপোস্টে এখন পর্যন্ত ২০০ এর বেশি রোহিঙ্গাদের ধরে শরণার্থী শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ প্রধান বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা একটি প্রেস রিলিজ পাঠিয়েছিলাম। কিছু মিডিয়া এটাকে বিরূপভাবে প্রকাশ করেছে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে। তারপরও যারা ঢুকেছে মানবিক দিক বিবেচনা করে সরকার তাদের আশ্রয়, ত্রাণ, খাবারের ব্যবস্থা করছে। তাদের জন্য আইডি কার্ড হবে, সেজন্য ডাটাবেজ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, উখিয়াতে দুই হাজার একর জায়গায় যে ক্যাম্প করা হচ্ছে, তাদের সেখানেই থাকতে হবে। সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়লে ডাটাবেজ করা যাবে না।
খাদ্য ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য, নিরাপত্তার জন্য তাদের শিবিরের বাইরে যেতে দেয়া যাবে না। রোহিঙ্গাদের যে আইডি কার্ড দেয়া হবে, তারা সেটি দিয়েই যাবতীয় সুবিধা নেবে। এজন্য আমরা বলেছি শিবিরের বাইরে অন্য এলাকায় রোহিঙ্গাদের বাড়ি ভাড়া দেয়া যাবে না। পরিবহন ব্যবস্থা দিয়ে তাদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নেয়া যাবে না।
মিয়ানমারের দুই সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, ওই দুই সাংবাদিক টুরিস্ট হিসেবে এসেছিল। টুরিস্ট হিসেবে অন্য দেশে এসে ছবি তোলা বা তথ্য সংগ্রহ করা এটা তো আমরা অ্যালাউ করব না। এগুলো করতে হলে সাংবাদিক হিসেবে পারমিশন নিয়ে এসে তারপর করতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন