জঙ্গিদের অর্থায়ন বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি চলছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স এবং দেশীয় অর্থ কোনো জঙ্গি তৎপরতায় ব্যবহার হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া কোনো বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, হাসপাতাল, ক্লিনিক, কোচিং সেন্টার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এনজিও, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে জঙ্গি তৎপরতা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কিনা, সীমান্তে অবৈধ অর্থের লেনদেন, চলাচল ও স্থানান্তর একই সঙ্গে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস, মোবাইল ব্যাংকিং ও বিকাশের মাধ্যমে অস্বাভাবিক অর্থ লেনদেন হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি অব্যাহত আছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ফরিদুল হক খান দুলালের (জামালপুর-২) প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে জঙ্গি কর্মকাণ্ড একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। তবে আমাদের দেশের মানুষ ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধ নয় বিধায় এদেশের মানুষ জঙ্গি কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না। ফলে ইতোমধ্যে জঙ্গি দমনে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, জঙ্গিরা যেমন নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনার চেষ্টা চালাচ্ছে, তেমনি তাদের অর্থের যোগানদাতা ও মদদদাতারাও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। জঙ্গিদের অর্থায়নের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গোয়েন্দা সংস্থা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গিদের অর্থায়ন সংক্রান্ত ২০১০ থেকে জুন ২০১৭ পর্যন্ত ৯০টি মামলা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৭, ৮, ৯ এবং ১৩ ধারায় রুজু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জঙ্গি অর্থায়ন সংক্রান্ত রুজুকৃত মামলাসমূহ সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে আরও বেশ কিছু ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান যুক্ত রয়েছে মর্মে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দেশের জঙ্গি অর্থের উৎস অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ পাওয়া মাত্র তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন