পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়
জনতার হাতে আটক চোরাই চাল রাতভর খুজে পেলেন না কর্মকর্তারা!
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দ ১০ টাকা মূল্যের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৪ বস্তা চাল বিক্রির পর জনতার হাতে আটক হলেও গভীর রাতে সেই চাল খুজে পেলেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
শনিবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার বালিয়াতলী ইউপির খেয়াঘাট এলাকায় একটি ভাংঙ্গারি গোডাউনে এসব চাল পাওয়া গেলে ডিলার মজিবর রহমান বিক্রি করেছেন বলে স্বীকার করেন ক্রেতা নাসীর মিয়া।
স্থানীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ প্রভাবশালী ডিলার মজিবর রহমান হতদরিদ্র মানুষের চাল বিক্রি করলেও ভয়ে মুখ খুলেননি কেউ। ঘটনার দিন ফেয়ার কার্ডের ১৪ বস্তা চাল সরকারী স্টিকারযুক্ত বস্তা পরিবর্তন করার সময় হাতেনাতে ধরা পরার পর বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। পরে এঘটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালায় পুলিশ ও খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তরা।
তবে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযুক্ত ডিলারকে গ্রেফতার কিংবা চাল জব্দ করা হয়নি বলে ফুঁসে উঠেছে তালিকাভুক্ত ফেয়ারকার্ডের সুবিধাভোগীরা।
তাদের অভিযোগ, স্থানীয় চেয়ারম্যানের শ্যালক হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে গরীবের জন্য বরাদ্দের চাল বিক্রি করছে ডিলার মজিবর রহমান।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা জানান, জনতার হাতে চাল আটকের পর সনাক্তকরনের তালবাহানা করে অভিযুক্তকে পার পাইয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নাসীর মিয়ার ভাংঙ্গাড়ি গোডাউনে ১৪ বস্তা সরকারী চাল পাওয়ার পরেও রাত দেড়টা পর্যন্ত কেন তা জব্দ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তারা- এমন প্রশ্ন এখন জনমনে।
এদিকে হাতেনাতে আটকের পর ভাংঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী সংবাদ কর্মীদের ক্যামেরার সামনে জানান, ১নং ওয়ার্ডের ডিলার মজিবর রহমানের কাছ থেকে তিনি চাল ক্রয় করেছেন নিজ বাড়িতে ভাত রান্না করে খাবার জন্য।
না জেনে ভুল করেছেন বলে ক্ষমা চান তিনি।
অপরদিকে অভিযুক্ত ডিলার মজিবর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, চাল কোন যায়গা দিয়ে কেনা হয়েছে তা নাসীর বলতে পারে। আমার জানা নেই বলে ফোন কেটে দেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মো. শহীদুল হক জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কলাপাড়া থানার ওসি তদন্ত আসাদুর রহমান জানান, শনিবার রাত প্রায় একটা পর্যন্ত খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে আমি সেখানে ছিলাম। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের যেটা বলবে আমরা সেই পদক্ষেপ নেবো।
খাদ্য অধিদপ্তর কর্মকর্তারা যদি অভিযান না চালায় সেক্ষেত্রে পুলিশ কারো গোডাউন ভেঙে চাল জব্দ করতে পারেনা।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ধ্রুব মন্ডল জানান, সভাপতি হচ্ছে ইউএনও স্যার, আমি অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত। তবে ঘটনাস্থলে আমাদের ইন্সপেক্টর পুলিশ নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন