জন্ম থেকেই কাগজের কার্টনে মারিয়া
১১ মাস বয়সী এক শিশুর বসবাস খোলা আকাশের নিচে; কাগজের কার্টনের ভেতর। তাঁর নিত্যসঙ্গী রাস্তার ধুলাবালি আর নর্দমার মশা। শিশুটির নাম মারিয়া।
জন্ম থেকেই মারিয়ার বাবা নেই। বাবা কে জানেও না সে। মা থেকেও নেই। নাজমা আক্তার নামের মা মারিয়াকে ফেলে নতুন সংসার পেতেছে।
মারিয়ার বসবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আধুনিক মার্কেটের সামনে। খোলা আকাশের নিচে একটি কার্টুনে। ছোট্ট এই শিশুটির দেখভাল করছেন মারিয়ার নানী নীলা।
বৃদ্ধা নানী নীলা জীবন-জীবিকার সন্ধানে সারাদিন শহরের অলিগলিতে কাগজ কুড়ান। মারিয়াকে রেখে যান কাগজের কার্টনে। মাঝে মাঝে দেখে যান নাতনীকে। পরম-মমতায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ ও পানি পান করান।
কার্টনে আটকে থাকা শিশুর দিকে হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ কোর্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আবদুল লতিফের। বৃদ্ধা নানীর সাথে কথা বলে শিশুটির দায়িত্বও নেন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে।
তিনি বলেন, ভাবতেই অবাক লাগে আমরা কেমন সমাজে বসবাস করছি! যেখানে মারিয়াদের মতো অনেক শিশু এমন কঠিন কষ্টে বড় হচ্ছে? শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তার নানীর মাধ্যমে সর্বদা শিশুটির খোঁজখবর রাখছি।
এরকম হাজারো অসহায় পথশিশুদের শিশুদের পাশে দাড়িয়ে সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই যেন মারিয়াদের মতো অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়াই। সচেতন হয়ে এমন একটি সমাজ গড়ে তুলি যেখানে আর কোন মারিয়া মা-বাবার আদর-স্নেহ থেকে বঞ্চিত হবে না। অসহায়ের মতো খোলা আকাশের নিচে কার্টনের ভিতর কিংবা রাস্তায় যেন রাত কাটাতে না হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন