জামালপুরে কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পে কুল বাগানের উদ্যোগ
কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হিসেবে জামালপুরের খ্যাতি সর্বত্র। বানিজ্যিক ভাবে কুল চাষ বাড়ছে। জেলার সর্বত্র কুল বাগান করে অনেক চাষী আজ স্বাবলম্বি। কুল চাষ জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ যে কর্মসূচী নিয়েছিলো তা বাস্তবায়ন হওয়ায় কুল বাগান সর্বত্র তৈরি হচ্ছে। ফলে কুল চাষের মাধ্যমে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গাঁ ভাব ফিরে এসেছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কুলের জন্য বিখ্যাত। এ উপজেলাধীন শ্রীপুর, বাঁশচড়া, সাহাবাজপুর, তুলশীপুর, নান্দিনা, নরুন্দি এলাকায় কুল বাগানের ছড়াছড়ি। সরেজমিনে এলাকা গুলো ঘুরে দেখা ও কথা হয় বেশ কয়েকজন কুল চাষীর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, এ এলাকা গুলোতে কেউ কুল বাগান করতো না।
জেলা কৃষি বিভাগের সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল কুলের কলমের চারা সরবরাহ করায় বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ফসলি জমিতে কুল বাগান করা হয়েছে। কুল যেহেতু মৌসুমী ফল। প্রতি মৌসুমে লক্ষাধিক টাকার কুল কেনাবেচা হয়।
কুল চাষীরা আরো জানান কুল আসার পূর্বেই বাগান বেচাকেনা শুরু হয়। বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীর অগ্রিম টাকায় কুল বাগান কিনে ফেলে। যার জন্যে অধিকাংশ কৃষক কুল বাগানের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
এ দিকে মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় কুল বাগানে ছেয়ে গেছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে চাষীদের স্বাবলম্বি করার লক্ষ্যে এ বিভাগের মাধ্যমে কুল বাগান তৈরির লক্ষ্যে ব্যপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছিলো তা বাস্তবায়ন হওয়ায় কুল বাগানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন