জামালপুরে দিন দিন বাড়ছে মৎস শিল্পের সংখ্যা

সরকারের সফল মৎস্য নীতির কারনে সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে মৎস্য খামার দিন দিন বাড়ছে। মৎস্য খামার করে অধিকাংশ শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশা পাশি মাছের চাহিদা মেটাচ্ছে। এ কাজে মৎস্য বিভাগ আর্থিক সহ নানাবিধ পরামর্শ দিয়ে সহয়তা করেছে। ফলে মৎস্য খামার ব্যপক ভাবে বেড়ে গ্রামীন অর্থনীতিতে প্রান ফিরে এসেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলাধীন শরীফপুর, নান্দিনা, নরুন্দি, ঘোড়াধাপ, গোপালপুর, সাহাবাজপুর, তিতপল্লা ও তুলশীপুর এলাকায় শতাধিক
মৎস্য খামার রয়েছে। এ খামার গুলোতে চাষ হচ্ছে নানা জাতের মাছ। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন মৎস্য খামারীর সাথে। তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন,মৎস্য খামার গড়ার পেছনে মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋন সুবিধা দিয়েছে।

ঋন সুবিধা পেয়ে এলাকার অধিকাংশ বেকার যুবক মৎস্য খামার করে ভাগ্যের চাঁকা ঘুরিয়ে ফেলেছে। মৎস্য খামারি আব্দর রহিম(৩৮) জানান, মৎস্য বিভাগের সহায়তার কারনে মৎস্য চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের এই সফল প্রকল্প মৎস্য বিভাগ মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ,বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় বাস্তবায়ন করেছে। এ উপজেলা গুলোর এমন কোন এলাকা নেই মৎস্য খামার না রয়েছে। জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে থেকে ৬শ মৎস্য খামার রয়েছে।

আরো মৎস্য খামার তৈরি হচ্ছে। নতুন নতুন মৎস্য খামার তৈরির কারণ অনুসন্ধান কালে জানা গেছে,সরকার মৎস্য চাষ বৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো। এ প্রকল্পের আওতায় শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মৎস্য খামার করার জন্য স্বল্প সুদে আর্থিক ঋন সুবিধা দিয়েছে। যারজন্যে অধিকাংশ বেকার যুবক মৎস্য খামার গড়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ সব খামারে চাষ হচ্ছে নানা জাতের মাছ। মৎস্য খামার বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামীন অর্থনীতির চেহারা পাল্টে গেছে।