জামালপুরে পরিবেশের জন্য ক্ষতি কারক প্লাস্টিকের ব্যাগ দিন দিন বাড়ছে
ব্যবসা বানিজ্যের জন্য প্রসিদ্ধ জামালপুর। জেলার ৭টি উপজেলায় ব্যবসা বানিজ্য বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে নিষিদ্ধ পলিথিনে ব্যবহার। চালের বস্তা থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের ব্যাগ বস্তার ব্যবহার হচ্ছে অহরহ। তাছাড়া নিষিদ্ধ পলিথিন ছেয়ে গেছে সর্বত্র। চালের প্লাস্টিকের বস্তা ও নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।
জানা যায়, জামালপুর শহর সহ সদর উপজেলার সর্বত্র প্লাস্টিকের ব্যাগ ও পলিথিনের ব্যবহার ক্রমশ;মারাত্মক আকার ধারন করছে। এমন কোন দোকান নেই পলিথিন না পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া স্টেশন বাজার সকালবারের চালের আড়ৎ গুলোতে চটের পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তা বেশি মাত্রায় ব্যবহার হচ্ছে। সরেজমিনে নান্দিনা বাজার, নরুন্দি বাজার, পিয়ারপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ সব বাজারের এমন কোন চালের আড়ৎ নেই চাল ভর্তি প্লাস্টিকের ব্যাগ না পাওয়া যাচ্ছে।
এ ব্যপারে চাল ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, আমরা মোকাম থেকে এ ভাবে চাল কিনে নিয়ে আসি। আমাদের করার কিছু নেই। আশ্চার্য্যরে ব্যপার পাট শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য ব্যবসায়ীরা উঠে পড়ে লেগেছে। তারা কোন প্রকার আইন কানুন মানছে না।
এ দিকে মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ও সরিষাবাড়ী উপজেলার সর্বত্র নিষিদ্ধ পলিথিনে ছেয়ে গেছে। পানের দোকান থেকে শুরু করে এমন কোন দোকান নেই পলিথিনের ব্যবহার না হচ্ছে। তাছাড়া চালের আড়ৎ গুলোতে আরো বয়াবহ অবস্থা। মুদি দোকান গুলো যেন পলিথিন ছাড়া চলেই না।
পলিথিন ব্যবহারের কুফল দিক নিয়ে জেলা প্রশাসন ব্যপক প্রচারনা চালানোর পরও ব্যবসায়ীরা কোন তোয়াক্কা করছে না। এমনকি ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জেল জরিমান করলেও তারা পলিথিন ব্যবহার করেই যাচ্ছে। তারা জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মানছে না। ফলে জামালপুর অসাধু চক্রের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন