জামালপুরে মুরগীর খামারে অসংখ্য যুব মহিলার আত্ম কর্মসংস্থান

প্রধান উপদেষ্টা ড.মো.ইউনুস স্বনির্ভর দেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রামীন অর্থনৈতিক প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে যুব মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ব্যপক উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। মুরগীর খামারের মাধ্যমে যুব মহিলাদের উদ্যোক্তা তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়ে অসংখ্য যুব মহিলাদের কর্মসংস্থান সহ ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানাযায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হলেও গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ উপজেলার যুব মহিলারা ব্যপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে মুরগীর খামার করে লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচর, চর যথার্থপুর,শরীরফপুর, সাহাবাজপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার যুব মহিলারা মুরগীর খামার করে স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছে।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন যুব মহিলাদের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, মুরগীর খামার গড়ে তুলার পেছনে যুব উন্নয়ন ও বিভিন্ন এনজিও ব্যপক সহায়তা করেছে। যুবউন্নয়ন ও বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রশিক্ষন ও আর্থিক সুবিধা পেয়ে মুরগীর খামার গড়ে তোলা হয়েছে। লক্ষীর চরের নাসিম(২৮) জানান, কৃষি মন্ত্রনালয়ের এ প্রকল্পের কারনে অসংখ্য যুব মহিলা স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে।

কৃষি মন্ত্রনালয়ের এ প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর,দেওয়াগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এতে অসংখ্য যুব মহিলার আত্ম কর্মসংস্থানের পাশাপাশি নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করে ফেলেছে। গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ পোগলদিঘা, ডাংধরা, পাররামপুর,পাথরশী সহ বেশ কয়েকটি এলাকার যুব মহিলারা মুরগীর খামারে ঝুঁকে পড়েছে।

সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে দেখা গেছে এমন কোন বাড়ী নেই মুরগীর খামার না রয়েছে। যুব মহিলা নার্গিস বেগম(২৫) জানান যুব উন্নয়ন আমাদের আত্মকর্মসংস্থানের পথ দেখিয়েছে। এ সব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন কৃষক বান্ধব সরকার নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আত্ম কর্মসংস্থান মূখী বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এ সব প্রকল্পের কারনে গ্রামীন অর্থনীতির চাকা জোরালো গতিতে ঘুরছে।